বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়ের লেখা ‘দুর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাসে এই জায়গার উল্লেখ রয়েছে। এখানকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। তবে অনাদরে পড়ে থাকা পার্কের বিভিন্ন জিনিস ভগ্নদশা হয়ে পড়ছিল। তাই সরকার নতুন করে হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়ে পরিকাঠামো গড়ে তুলছে।
উল্লেখ্য,শাল, শিমুল, পিয়াল, সেগুন দিয়ে ঘেরা মান্দারণ জঙ্গল। সারা বছর অনেকে পিকনিক করতে আসেন এখানে। সবই যেন রং তুলি দিয়ে ক্যানভাসে আঁকা ছবি। পার্কের আশেপাশে ঢিপির মতো অংশ আছে। কথিত, সেটাই ছিল গড়। পার্কের বিভিন্ন জিনিসপত্র এ বার সরকার নতুন করে সাজিয়ে তুলছেন। ছোট ছেলেদের পার্কের খেলা সরঞ্জাম এবং বাড়িঘর নতুন করে তৈরি এবং রং করা সমস্ত কিছুই সাজিয়ে তুলছে। তাই পর্যটকেরা আস্তে আস্তে ভিড় জমাচ্ছেন গড় মান্দারণ পার্কে।
advertisement
এই বিষয়ে পার্কের ইনচার্জ জবা মুর্মুর জানান ‘‘গড় মান্দারণ মানে ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র। এখানে নানা ইতিহাসের কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে সরকার হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে নতুন করে সেজে উঠেছে পার্ক। সারা বছরই এই পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় চোখে পড়ার মতন। বিশেষ করে দুর্গাপুজোর সময় বহু দূর দুরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমান। এই পার্কে মাথাপিছু টিকিট মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকা। সকাল ১০ থেকে ৫ পর্যন্ত প্রত্যেক মানুষের জন্য ইতিহাসের গন্ধমাখা এই পার্ক খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।