এদিন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া জানিয়েছেন, বর্তমান আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার উপসর্গেও পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই নতুন উপসর্গ সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মীদের আগাম সতর্ক করার জন্যই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, রোগের উপসর্গে পরিবর্তন ঘটায় আরও বেশি করে সতর্ক হওয়ায় সময় এসেছে। তাই নতুন উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন করতেই জেলার স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ ভেঙে পড়ছে রামকৃষ্ণ পরমহংসের পদধূলি ধন্য মানিক রাজার প্রাসাদ
পরবর্তী সময়ে এই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মীরা ব্লক স্তরের স্বাস্থ্য কর্মী এবং আশা কর্মীদের নতুন উপসর্গ সম্পর্কে গ্রাম গঞ্জে মানুষকে সচেতন করবেন। এখন বর্ষার সবে শুরু, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির ফলে অনেক জায়গায় জল জমে থাকছে। ফলে জমা জল থেকে নতুন করে ডেঙ্গু লার্ভা জন্মাচ্ছে। এডিস মশা জন্মানোর প্রবণতা বাড়বে এই সময়।
সাধারনত ডেঙ্গুর লার্ভা তিন বছর পর্যন্ত বাঁচে। তাই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আগে থেকেই প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে। শুরু হয়েছে মশা নিধন। পুরসভা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত সর্বত্র জেলার নর্দমা পরিষ্কার করে, মশার লার্ভা নষ্ট করার রাসায়নিক (মসকিউটো লার্ভাসাইড অয়েল) স্প্রে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মসকিউটো লার্ভাসাইড অয়েল এসে পৌঁছেছে জেলায়।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে জেলার ১৩ পুরসভা এবং জেলার ১৮ টি ব্লকের সর্বত্র সেই রাসায়নিক পাঠানো হয়েছে। গত তিন বছরের ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের তথ্য অনুযায়ী জেলায় একাধিক জায়গাকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই জায়গা গুলিকে বিশেষ ভাবে নজরে রাখা হচ্ছে। ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে কেউ হাসপাতালে এলে তার রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু মশা সকালে আর সন্ধে বেলার কামরায় তাই এই সময় সাবধানতা নিতে বলছে স্বাস্থ্য দফতর।
রাহী হালদার