মাত্র পাঁচ বছর বয়সে দাদুর সঙ্গে ক্রিকেট মাঠে প্রথম বার পা পড়ে অভিষেকের। চন্দননগরের মেরির মাঠ হল অভিষেকের ক্রিকেটের জন্মস্থান। বহু বছর প্র্যাকটিস করেছেন এই মেরির মাঠে। আজ যখন অভিষেক চর্চার কেন্দ্রবিন্দু তখন আনন্দিত অভিষেকের প্রথম জীবনের কোচ থেকে তার বন্ধুবান্ধবরা ও। উইকেটকিপিং-এর রিফ্লেক্স অভিষেকের বরাবরই খুব ভাল। সঙ্গে ব্যাটিংয়েও দক্ষতা রয়েছে তাঁর ৷ পিঞ্চ-হিটার হিসেবে অভিষেক নিজেকে প্রমাণ করতে পারবে বলেই আশাবাদী তাঁর ছোটবেলার কোচ।
advertisement
অভিষেকের প্রাক্তন কোচ মনীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, অভিষেক যখন একদম ছোট তখন থেকেই সে দাদুর হাত ধরে এই মাঠে আসত। ছোটবেলা থেকেই উইকেটকিপিং করার জন্য একটা বিশেষ আগ্রহ ছিল। এখন যে তাঁকে স্পাইডারম্যান বলা হচ্ছে, তা হওয়ারই ছিল। অভিষেকের যে রিফ্লেক্স তা ছোট থেকেই অনবদ্য। একই সঙ্গে সে ব্যাটিংও খুব ভাল করতে পারে। যথাযথ সুযোগ পেলে কিপিংয়ের মতো ব্যাটসম্যান হিসেবেও অভিষেক নিজের দক্ষতা প্রমাণ করবেন বলে আত্মবিশ্বাসী মণীন্দ্রনাথ বাবু৷
হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও ছোটবেলার বন্ধুদেরকে ফোন করতে ভোলেন না অভিষেক। দিল্লি ক্যাপিটালস তারকার ছোটবেলার বন্ধু প্রয়াস ঘোষাল বলেন , প্রায় প্রতিদিনই মেসেজ ও ফোনে তাঁদের কথোপকথন চলে। অভিষেকের বন্ধুরাও নিশ্চিত, তিনি এখন যতটা ভাল কিপিং করছেন, আগামী দিনে ব্যাটিংয়েও সেরকম নজরকাড়া পারফরম্যান্স করবেন৷ বন্ধু প্রয়াস আরও বলেন, 'অভিষেক এতটাই পরিশ্রমী ছেলে সে তার স্বপ্ন সফল অবশ্যই করবে।'
রাহি হালদার