চলতি বছর কনজাংটিভাইটিস-এর চরিত্র বদল হয়েছে। মূলত ব্যাক্টিরিয়ার প্রভাবে কনজাংটিভাইটিস হত। কিন্তু এখন ভাইরাসের প্রভাবেও কনজাংটিভাইটিস হচ্ছে। নতুন এই কনজাংটিভাইটিসের পিছনে রয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। ব্যাক্টিরিয়াঘটিত কনজাংটিভাইটিসের ক্ষেত্রে মোটামুটি সাত দিনের মধ্যে সুস্থ হওয়া যায়। কিন্তু ভাইরাসঘটিত কনজাংটিভাইটিস-এর ক্ষেত্রে সুস্থ হতে সময় লাগছে প্রায় অনেক বেশি। ব্যাক্টিরিয়াঘটিত কনজাংটিভাইটিস চোখের কর্নিয়ার উপরে তেমন কোনও প্রভাব ফেলে না। কিন্তু ভাইরাসঘটিত কনজাংটিভাইটিস অনেক বেশি ভয়ানক! এতে কর্নিয়ার মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। ভাইরাসঘটিত কানজাংটিভাইটিস-এর ক্ষেত্রে অন্যকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা থেকে যাচ্ছে প্রায় দু’সপ্তাহ। সংক্রমণ আটকাতে ছোঁয়াচ বাঁচানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
advertisement
আরামবাগের বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা আইএমএ রাজ্য সহ-সভাপতি ডাঃ অশোক কুমার নন্দী জানান, ” বর্ষায় দু’ধরনের চোখের সংক্রমণে মানুষ আক্রান্ত হন। একটা হল এলার্জি, অন্যটি ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস। এখন যে রোগটি হচ্ছে তার স্থানীয় নাম ‘জয় বাংলা’। এটি ভাইরাসঘটিত রোগ। আক্রান্তের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কনজাংটিভাইটিস হলে চোখে ঘন ঘন হাত দেওয়া ঠিক হবে না। ওষুধ দেওয়ার সময় ছাড়া চোখে যেন হাত না যায়। ওষুধ কিংবা ড্রপ দেওয়ার পর হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। ওই হাত অন্য কোথাও স্পর্শ করলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগীর জামাকাপড়, তোয়ালে, চশমা, বালিশ, বিছানার চাদর অন্য কেউ ব্যবহার না করাই ভাল। এ সময়ে বেশি টিভি, ফোন না দেখাই ভাল। টিভি, ফোনের আলোয় চোখে অস্বস্তি বাড়তে পারে। কনজাংটিভাইটিস হলে যত ক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকা যায়, ততই ভাল
Suvojit Ghosh