বছরের চার মাস এই কাজের ব্যস্ততা থাকে। ওই কারখানায় একসঙ্গে কুড়ি-বাইশ জন শ্রমিক কাজ করছেন। একটি মোমবাতি তৈরি করতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাত মিনিট। তবে একটি নয় তৈরি হয় একসঙ্গে ৫০ টি করে মোমবাতি। মোমবাতি তৈরি শুরু হয় গরম ওভেনে মোমকে গলিয়ে। মোম গোল তরল হয়ে গেলে বালতি করে তা নিয়ে যাওয়া হয় মোমবাতি তৈরির জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: ইডি, সিবিআই তদন্তের মাঝেই d.el.ed কলেজ গুলোর অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক, নজরে আজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
আরও পড়ুন: বিপর্যয়ে বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা, অভিভাবক স্নেহে শিশুকে নিলেন কোলে
একজন দক্ষ কারিগর প্রথমে একটি ডাইসের মধ্যে সুতলি পড়াতে থাকেন। সাদা রঙের সেই সুতোলিটিই হল মোমবাতির সলতে। সুতলি পরানো হয়ে গেলে ডাইসটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরে উপরের ফাঁকা অংশ দিয়ে তার ভেতরে ঢালা হয় গরম তরল মোম। মিনিট পাঁচ রেখে দিতেই তরল মোম জমে শক্ত হয়ে যায় এবং আকার নিয়ে নেয় একটি মোমবাতির।
বর্তমান সময়ে বাজারে চায়না আলো এসে যাওয়াতে অনেকটাই মার খেয়েছেন মোমবাতি তৈরীর সঙ্গে যুক্ত কারিগররা। মানুষজন চায়না আলোর প্রতি ঝুঁকতে দর কমেছে মোমবাতির।
একই সঙ্গে তার প্রভাব এসে পড়েছে কারিগরদের পারিশ্রমিকের উপরেও। আগে যে ফ্যাক্টরিগুলিতে ৩০-৩৫ জন নিয়ে কাজ হতো এখন সেখানে কারিগরের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫ থেকে ১৮ জন।
রাহী হালদার