স্বাস্থ্য দফতরের সমীক্ষা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে জেলায় ডেঙ্গিতে মোট আক্রান্ত প্রায় ১৬০০। এক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪০০ বেশি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২০০ জন। জেলায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক জনের। এর মধ্যে উত্তরপাড়ায় শেষ চার মাসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে ৩ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। ডেঙ্গির বার বাড়ন্ত রুখতে স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে ইতিমধ্যেই।
advertisement
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ডেঙ্গি প্রবণ জায়গাগুলির হল-
শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া -- ৫৫ধোনেখালি --৫২মগরা ---৫১পান্ডুয়া --- ৩৭জঙ্গিপরা ---- ৩৫খানাকুল ২ -- ৩৩সিঙ্গুর --- ৩০চন্ডিতলা ১ --- ২৫দক্ষিণ নারায়ণপুর --- ২২বলাগর -----১৯খানকুল ১ -- ১৮চন্ডীতলা ২ -- ১৭
আরও পড়ুন Murshidabad News: পুজোর মুখে সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া, সংসার চালাতে পকেটে টান
ডেঙ্গির লং জাম্পের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যাতে ডেঙ্গিতে নতুন করে প্রাণ না যায়, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার ১৮ টা ব্লক হাসপাতাল ও ৫ টা বড় হাসপাতালে আলাদা করে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে। যেখানে ২৪ ঘণ্টা ডেঙ্গি পরীক্ষা করা যাবে। চার ঘণ্টার মধ্যেই আসবে ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট। রোগীর পরিবারের হাতে এর মধ্যেই পৌঁছে যাবে রক্ত পরীক্ষার ফলাফল।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভূঁইয়া জানান, শ্রীরামপুর মহকুমা দফতরে ডেঙ্গি নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া,সহ প্রশাসনিক কর্তারা। বৈঠকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে যে হারে কেস বাড়ছে তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুজোর আগে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম ধাপে পরিষ্কার অভিযান চালানো হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুজোর পর ১১ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই সাফাই অভিযান চলবে। কোথায় কোথায় দ্রুত ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে সেই সব ওয়ার্ড ও গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা গুলো কে চিহ্নিত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
রাহী হালদার






