গত কয়েক বছর ধরেই ড্যানিশ ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা ও সেই আমলের স্থাপত্যগুলিকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শ্রীরামপুরে। এই বিষয়ে ভারত ও ডেনমার্ক দুই দেশের সরকারই যৌথভাবে কাজ করছে। আগের চেহারা ফিরে পায় গভর্নর হাউস, টাভার্ন। ভারতে ড্যানিশ উপনিবেশে শ্রীরামপুর ছিল বাণিজ্য নগরী। পশুপাখির হাট চালুর মাধ্যমে সেই বাণিজ্য নগরীর পুরনো রূপ আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু হল।
advertisement
আরও পড়ুন: এই ক্ষতিপূরণ করবে কে! ১৮ মাসের পরিশ্রম মুহূর্তে শেষ হয়ে গেল
শ্রীরামপুরে গঙ্গার পাড়ে নিশান ঘাটে শুরু হল পশুপাখির এই হাট। ড্যানিশ আমলে শ্রীরামপুরের এই হাটে বহু দূর থেকে মানুষজন আসত, বেচাকেনা হত। ড্যানিশরা চলে যাওয়ার পর সেই হাট বন্ধ হয়ে যায়। ঐতিহ্য সংরক্ষণে প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি শ্রীরামপুরবাসী।
শ্রীরামপুর পুরসভার সিআইসি পিন্টু নাগ বলেন, অনেকেই পশু-পাখি ভালবাসেন, রঙিন মাছ বাড়িতে রাখেন। এই হাট তাঁদের কাছে লাগবে। শুধু শ্রীরামপুর শহর নয়, হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গার মানুষ এই হাটে আসবেন। তাঊদের আর কষ্ট করে কলকাতায় যেতে হবে না। শ্রীরামপুর শহরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, সেই দাবি পূরণ হল। তবে এই হাটে পশুপাখি কেনাবেচার ক্ষেত্রে সরকারি আইন মেনে চলতে হবে বলে পরিষ্কার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই হাটে প্রথমদিন যোগ দেওয়া এক বিক্রেতা সৌমেন সরকার বলেন, মানুষের রেসপন্স খুব ভাল। আজ হাটের প্রথম দিন। এর পরের সপ্তাহগুলোতে আরও ভালো হবে বলে আশা রাখি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি রবিবার বসবে এই পশুপাখির হাট।