উদ্ধার হয়েছে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বেশি। ধৃতদের বাড়ি ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আরও দেখুন
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সিঙ্গুর থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে সিঙ্গুর বিডিও এলাকায় একটি গাড়িকে সন্দেহ হওয়ায় দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। কথার অসংগতিতে চাপে পড়ে যায় গাড়িতে থাকা তিনজন। তখনই পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি করা শুরু করে এবং গাড়ির সিটের ভিতর থেকে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার হয়। প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় এক কিলো করে গাঁজা আছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছয় লক্ষ টাকা। ঘটনায় গাড়িতে থাকা তিনজনকেই গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ।
advertisement
আরও দেখুন
হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডি এস পি আফজল আবরার জানান, পাচারকারীরা উড়িষ্যার তাজপুর জেলা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল। এবং চন্দননগরে কোন এক ব্যক্তিকে তা সরবরাহ করার কথা ছিল। পাচারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে জাতীয় সড়ক এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা ধরে আসছিল যাতে পুলিশের নজর এড়ানো যায়।
গাড়িটি চন্ডীতলার আঁইয়া ,শিয়াখালা, বনমালীপুর, বাসুবাটি হয়ে যখন সিঙ্গুরে ঢোকে তখনই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তারপরেই গাঁজা পাচারের পর্দা ফাঁস হয়। গাঁজা পাচারকারী তিনজনেরই বাড়ি চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর এলাকায়। গ্ৰেফতার হওয়া তিনজন এত পরিমান গাঁজা কাদের সরবরাহ করত এবং এই চক্রের সঙ্গেআর কারা কারা যুক্ত আছে তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে যে গাড়িটি করে গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল সেই গাড়িটি কোথাকার, তার মালিক কে তাও খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ।
Rahi Haldar