ঋতু বদলেছে। বদলে গেছে মানুষের ডায়েট চার্টও। জাঙ্ক ফুড, তেল-মশলাদার খাবারের চেয়ে হালকা খাবার এখন বেশি পছন্দের। ডায়েট সচেতন না হয়েও লিক্যুইড ডায়েটে ঝুঁকছেন অনেকেই। প্রচণ্ড গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখতে ভরসা এখন লস্যি। বেল-সহ বিভিন্ন ফল ও পাতিলেবুর শরবত। ডাবের জল। আখের রস। প্রচণ্ড রোদ মাথায় নিয়ে প্লাস্টিক ছাউনির নীচে এই সব তরলে গলা ভিজিয়ে একটু স্বস্তির খোঁজে পথ চলতি মানুষ।
advertisement
শরবত, লস্যি বাদ দিলে রাস্তায় বেরিয়ে অনেকে শুধু ফল খেয়ে হিট-কে বিট করতে চান। তরমুজ, সবেদা, শশা, কলা, পেয়ারা আরও নানা ফল। ইদানিং কাটা ফল খাওয়া এড়াতে চাইছেন অনেক স্বাস্থ্যসচেতনই। বিক্রিও কমেছে। তবে আটকানো যায়নি কাটা ফল বিক্রি।
খোলা জায়গায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থেকে কাটা ফলে ধুলো, ময়লা পড়ে যায়। ব্যাকটেরিয়া ধরা ফলের উপকারিতা তো থাকেই না। বরং ক্ষতি হয় শরীরের । এ কথা আজ প্রায় সকলেরই জানা।
তবু চলছে বিকি-কিনি। প্রকাশ্যেই। বন্ধ হয়নি ইন্ডাস্ট্রিয়াল বরফ ব্যবহারও। পয়লা বৈশাখের পর এর বিরুদ্ধে অভিযানে নামতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
প্রতি বছরই নিয়ম করে অভিযানে নামে পুরসভা। যদিও কাটা ফল নষ্ট করা ছাড়া কঠোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়না কখনও। এভাবে কী সচেতনতা ফেরে ? প্রশ্নটা থেকেই যায়।
