৩৪ নং জাতীয় সড়কের থেকেই দেখা যায় সাদা রঙের সিমেন্টের বড় একটি গেট। গেটের নীচ দিয়ে রাস্তা স্বাগত জানাচ্ছে পলাশীর ময়দানে যাওয়ার। সেই গেট অতিক্রম করে গ্রামের আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে কিছুক্ষণ গেলেই দূর থেকে দেখা যাবে একটি বিশালাকার মনুমেন্ট। যাতে খোদাই করে লেখা রয়েছে, "ব্যাটেলফিল্ড অফ পলাশী"। কয়েক বছর আগেও এই স্থানে চোখে পড়ার মতো কিছুই ছিল না। ২০০৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের ২৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি হয় এই মনুমেন্ট। ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তান পিপলস ফোরামের উদ্যোগেই স্থাপন করা হয় এই মনুমেন্ট।তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ খবর কেউই রাখেন না। সরকারি উদ্যোগ বলতে শুধুমাত্র একটা ছোট্ট বোর্ড যাতে সংক্ষেপে লিখা রয়েছে পলাশীর সেই অন্ধকারময় ইতিহাসের কথা। এছাড়াও পলাশীর এই ময়দানে পরাজিত নবাব সিরাডউদ্দৌলার রয়েছে একটি আবক্ষমুর্তি। রাজ্যের তথা দেশের অনেকেই এখনো হয়তো জানেনই না যে মুর্শিদাবাদের ততকালীন নবাব যে পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন সেই পলাশী আসলে নদীয়া জেলাতে রয়েছে। রণভূমি আজ তৃণভূমি ও ঝোপ জঙ্গলে ভরা। চরম অবহেলার শিকার এই ঐতিহাসিক গুরুত্বে ভরা জায়গাটি। এলাকার মানুষের ক্ষোভ, না কেন্দ্র না রাজ্যে কোনও সরকারই এই পলাশীকে নিয়ে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি এ পর্যন্ত। অবিলম্বে এই জায়গাটিকে সংরক্ষণ করে এর গুরুত্ব অনুযায়ী মর্যাদা দেওয়ার দরকার রয়েছে বলেই জানা এলাকার বাসিন্দারা।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা হাসেম আলী মোল্লা জানান, এত নামিদামি একটি জায়গা কিন্তু তার জন্য সরকার থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে অযত্নে পড়ে রয়েছে পলাশীর ময়দান। ইতিহাসবিদ কেশব চন্দ্র হালদারের আক্ষেপ, বর্তমান প্রজন্ম সিরাজউদ্দৌলা তথা পলাশীর যুদ্ধের সম্পর্কে তেমন ভাবে অবগত নয়। সরকার থেকে উচিত এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
Mainak Debnath