কাশীশ্বরের নির্মিত দুর্গাদালান ১৯২৯ সালে একেবারে ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় ৷ তখন আবার তৈরি করা হয়েছিল ঠাকুরদালান ৷ দু’দালান ও পাঁচ খিলান বিশিষ্ট সেই দুর্গাদালানে আজও পুজো হয় ৷ এখানে দুর্গা সসিংহ, মহিষমর্দিনী, সাবেকি ডাকের সাজে টানাচৌরি চালচিত্রে মাটির বেদিতে পূজিতা ৷ এই পরিবারের সিংহবাহিনীর নাম ‘দেবী কাশীশ্বরী’ ৷ এখানে পুজো হয় বৃহন্নন্দিকেশ্বর পুরাণ মতে ৷ বোধন বসে পুজোর ঠিক ১২ দিন আগে অর্থাৎ কৃষ্ণনবমী তিথিতে আর শেষ হয় দুর্গানবমীতে ৷ পুজো বসলে এ পরিবারের অবিবাহিতা মেয়েরা হাতে শাঁখা পরেন ৷ তবে নোয়া পরতে পারবেন না ৷ পুরীর জিবেগজা প্রসাদের মধ্যে অন্যতম ৷ এ পরিবারের মা দুর্গা অন্নভোগ পান ৷ প্রসাদ বিতরণের সময় সকলে একসঙ্গে বলে ওঠেন, ‘‘বাবা রামশরণের কড়াই ধর’’ ৷ মহাষ্টমীর দিন হয় কালো প্রদীপের আরতি ৷ পাঁঠাবলি এখন বন্ধ ৷ তার বদলে হয় আঁখ, চালকুমড়ো এবং চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি শত্রু বলি ৷ এখানে ব্রাহ্মণ-অব্রাহ্মণ দু’জন কুমারীকে পুজো করা হয় ৷ দশমীর বিসর্জনের আগে বাড়ির মেয়ে-বৌরা কনকাঞ্জলি নেন ৷ এখন দেবীকে কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয় বিসর্জনের ঘাটে ৷ বাড়ি থেকে বেরিয়ে মা যান দুলে পাড়ায় ৷ সেখানে দুলে বৌরা দেবীকে বরণ করেন ৷ তারপর আবার শোভাযাত্রা করে দেবীকে চৌধুরী পাড়ায় নিয়ে আসা হয় ৷ তারপর পরিবারের পুকুরেই হয় প্রতিমা নিরঞ্জন ৷ তবে পরিবারের কোনও মহিলা এখন বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যেতে পারেন না ৷
advertisement
তথ্য সহায়তা: ধ্রুব দত্তচৌধুরী