TRENDING:

প্রতাপচাঁদ কি সত্যিই প্রতারক ছিলেন? আজও রহস্যে মোড়া সেই রাজ কাহিনী

Last Updated:

বর্ধমানের মহারাজা তেজচাঁদ। তাঁর আট স্ত্রী থাকেন রানিমহলে। কিন্তু তাঁর একটি মাত্র সন্তান প্রতাপচাঁদ । একদিন হঠাৎ হারিয়ে গেলেন তিনি । ঠিক কী হয়েছিল.....

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বর্ধমান: জাল ঘোষিত হয়েছিলেন রাজা প্রতাপচাঁদ। চারদিকে এখন যেন প্রতারকের ছড়াছড়ি। ভুয়ো আইপিএস থেকে ভুয়ো সিবিআই অফিসার- প্রতিদিনই নিত্যনতুন ঘটনা সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে। তখনই আলোচনায় উঠছে ইতিহাস বিখ্যাত জাল প্রতাপচাঁদের কথা। নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া রাজা ফিরে এলেন বহুদিন পর।  কিন্তু তিনি আসল নাকি নকল?
advertisement

রাজা অতীতের সব কথা বলে যাচ্ছেন। অথচ তাতে আমল দিতে নারাজ বর্তমান শাসকরা। তবে কি ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন বর্ধমানের রাজা প্রতাপচাঁদ? রাজা আসল না জাল প্রমাণ করতে মামলা উঠল হুগলি কোর্টে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর সাক্ষ্য দিলেন রাজার বিরুদ্ধে। জাল ঘোষিত হলেন রাজা প্রতাপচাঁদ। কিন্তু বর্ধমানের বাসিন্দাদের কাছে তিনিই ছিলেন আসল প্রতাপচাঁদ। বর্ধমান রাজ পরিবারের সেই কাহিনী আজও রহস্যে মোড়া। আজও বাসিন্দাদের মুখে মুখে ফেরে প্রতাপচাঁদের কথা।

advertisement

তখন বর্ধমানের মহারাজা তেজচাঁদ। তাঁর আট স্ত্রী থাকেন রানিমহলে। তেজচাঁদের পর কে রাজা হবেন তা নিয়ে রাজবাড়ির অন্দরে রাজনীতি তুঙ্গে। রাজার একের পর এক বিয়ে হলেও সন্তান একটিই। প্রতাপচাঁদ। লোককথা, আত্মীয় পরাণচাঁদ কাপুর প্রথমে নিজের বোন ও পরে মেয়ের সঙ্গে মহারাজ তেজচাঁদের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতাপচাঁদ ছাড়া রাজার দ্বিতীয় কোনও সন্তান হয়নি। নিয়ম মাফিক, তেজচাঁদের পর রাজা হলেন প্রতাপচাঁদ। ১৮১৬ সাল থেকে ১৮২০ সাল পর্যন্ত চার বছর শাসন করেছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন সাহসী রাজা। প্রজাদের কাছে তিনি বিশেষ প্রিয় ছিলেন। কিন্তু রাজবাড়ির অন্দরে তলে তলে তাঁকে সরানোর চক্রান্ত চলছিল অনেক আগে থেকেই। হঠাৎই একদিন নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন রাজা।

advertisement

ইতিহাসবিদ বলেন, চারিত্রিক দোষ দিয়ে তাঁকে কলঙ্কিত করা হয়েছিল। সেই গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে তিনি সাধক কমলাকান্তের পরামর্শে হিমালয়ে চলে যান বলে অনেকে মনে করেন। আবার অনেকের মতে, তাঁর অজান্তে তাঁর শরীরে বিষ ঢুকিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়। ইতিহাসের গবেষক সর্বজিত যশ জানান, প্রতাপ নিরুদ্দেশ হওয়ার পর পরানচাঁদ কাপুরের প্রভাব অনেকটাই বাড়ে রাজবাড়ির অন্দরে। তাঁর পুত্রকে দত্তক নেন তেজচাঁদ। সেই দত্তকপুত্র মহাতাবচাঁদ সিংহাসনে বসেন।

advertisement

১৪ বছর পর সন্ন্যাসীর বেশে ফিরে আসেন প্রতাপচাঁদ। গোলাপবাগ অঞ্চলে তাঁকে প্রথম দেখা যায়। তিনি ফিরে আসায় আনন্দিত হয়ে ওঠেন প্রজারা। বর্ধমান জুড়ে আলোড়নের সৃষ্টি হয়। খবর পৌঁছয় রাজবাড়িতে। প্রমাদ গোনেন বর্তমান শাসকরা। লেঠেল পাঠিয়ে প্রতাপকে তাড়ানোর চেষ্টা হয়। বর্ধমান শহরের পাশে একটি শিব মন্দিরে আশ্রয় নেন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ইউটিউব দেখেই কামাল করছে এই কিশোর, দেখলে আপনিও চোখ সরাতে পারবেন না
আরও দেখুন

ইংরেজ বাহিনীর সহায়তায় কালনায় ভাগীরথীর তীর থেকে প্রতাপচাঁদকে আটক করা হয়। রাজবাড়ি থেকে তাঁকে নকল প্রতাপ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই প্রতাপকে জাল প্রমাণ করতে প্রচুর অর্থ খরচ করেছিল রাজ পরিবার। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রতাপের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেন। অনেকেরই মতে, প্রচুর অর্থ ও ব্যবসায়িক কারণে প্রতাপের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন তিনি। প্রতাপের দুই স্ত্রীকে পরাণচাঁদ আটকে রাখেন রাজবাড়িতে। তাঁদের সাক্ষ্য দিতে যেতে দেওয়া হয়নি। প্রতাপচাঁদ নানান প্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে জাল ঘোষণা করা হয়। বাকি জীবন কলকাতায় কাটান প্রতাপচাঁদ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
প্রতাপচাঁদ কি সত্যিই প্রতারক ছিলেন? আজও রহস্যে মোড়া সেই রাজ কাহিনী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল