TRENDING:

দেশজ, সাবেকি, আধুনিকতার জবরদস্ত মিশেলের নাম ‘কারুবাসা’

Last Updated:

‘ক্লাস’-এর জিনিস ‘মাস’-এর কাছে পৌঁছে দিতে নিজেদের অফুরন্ত সম্ভার নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারেও হাজির তাঁরা ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: কারুবাসা ৷ নামটা শুনলে প্রথমেই মনে হয় এক্কেবারে এক্সক্ল‌ুসিভ...কিন্তু সাধ্যের মধ্যে ৷ ‘ক্লাস’-এর জিনিস ‘মাস’-এর কাছে পৌঁছে দিতে নিজেদের অফুরন্ত সম্ভার নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারেও হাজির তাঁরা ৷
advertisement

কারুবাসার সবটাই দেশজ ৷ প্রথমত ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে গয়না, ঘর সাজাবার জিনিস, আসবাব বানায় তাঁরা ৷ টুকরো কাপড়ের পোশাক তৈরিতে এ শহরে কারুবাসার জুড়ি মিলবে কম ৷ পরিবেশ বান্ধবই শুধু নয়, কারুবাসা পুরোপুরি সাবেকি ৷ আধুনিক আর্টকে কোনও কোনও ক্ষেত্রে আপন করে নিলেও কারুবাসার জিনিসে পাবেন সাবেকিয়ানার দূর্দান্ত মিশেল ৷

advertisement

কারুবাসার শুরুটা হয়েছিল ২০১৬-তে ৷ কারুবাসার মধ্যমণি, একক সেনাপতি বা জন্মদাত্রী যিনি, সেই টুম্পা মণ্ডলের হাত ধরে কারুবাসার জন্ম ৷ নিজেকে এলোমেলো টুম্পা বলতেই বেশি পছন্দ করেন টুম্পা ৷ তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলের নামও তাই ৷ কারণ সত্যিই খানিকটা এলোমেলো তিনি ৷ না হলে সরকারি চাকরির মোহ কাটিয়ে কেউ বুটিক খুলতে পারে!

advertisement

ছোট থেকেই আঁকার প্রতি টান, দক্ষতাও ছিল কিছুটা ৷ মাধ্যমিক পাশ করেই বিভিন্ন বুটিকে কাজ করা শুরু ৷ ধীরে ধীরে সেলাই, রং, আঁকার মাঝেই নিজের জগৎটা খুঁজে পেয়ে যান টুম্পা ৷ চাকরি পেলেও তাতে মন টেকেনি ৷ নিজের বুটিক কারুবাসা প্রথম চলতে শুরু করে অনলাইনে ৷ এটা, ওটা, সেটা...যাই পেতেন হাতের সামনে কিছু না কিছু বানিয়ে ফেলতেন ৷ এই করতে করতেই কলকাতায় প্রথম সুতির ব্যাঙ্গলসে লাইন পেন্টিং আর বাংলা লেখার ফ্যাশন নিয়ে এলেন তিনি ৷ ব্যাঙ্গলসের পর কারুবাসার সমস্ত গয়নাতেই বাংলা কবিতা চলে এল ৷ আর বাংলা কবিতার এই গয়না দারুণ হিট হল ৷ এই করেই বেশ চলছিল ৷

advertisement

কারুবাসা শুধু বুটিক নয় ৷ একটা বড় সামাজিক দিক রয়েছে কারুবাসার ৷ সমস্ত পরিবেশ বান্ধব উপাদানেই জিনিস তৈরি করেন টুম্পা ৷ পাশাপাশি জৈব চাষে উৎসাহ দেন ৷ নিজের বুটিকের একটা তাক বরাদ্দ থাকে নানা রকম জৈব প্রডাক্টের জন্য ৷ মেয়েদের স্বনির্ভরতার দিকটিও নজরে থাকে তাঁর ৷ তাই কারুবাসার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মহিলা ৷ কারুবাসার তাঁতিও একজন মহিলা ৷

advertisement

অনলাইনে পায়ের মাটি শক্ত করেছিল কারুবাসা ৷ এখন তারা অফলাইনেও ৷ ২০১৭-য় গল্ফ গ্রিনে খুলেছিল কারুবাসার প্রথম দোকান ৷ এখন ঠিকানা ৩১বি যাদবপুর সেন্ট্রাল রোড, যাদবপুর বাউল মোড় ৷ এখন অনলাইন, অফলাইন...সবেতেই পাবেন কারুবাসাকে ৷

পুজোয় দারুণ দারুণ কালেকশন রয়েছে কারুবাসার দস্তানায় ৷ এবারের পুজো স্পেশ্যাল মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ শাড়ি ৷ মোটামুটি ১৭০০-২০০০ টাকা দাম ৷ ওড়িশার ডোংরি কাজের শাড়ি এ বছর পুজোর আকর্ষণ ৷ দাম ৪ হাজারের কাছাকাছি ৷ আর রয়েছে রাফ টেক্সচারের গোটা খাদির শাড়ি ৷ একেবারে ১০০ শতাংশ সুতির শাড়ি এগুলো ৷ রয়েছে ডিজাইনার ব্লাউজ ৷ রয়েছে হাতে আঁকা পাঞ্জাবী ৷ এ বছর অসমের গামছার কাজ অনেক হয়েছে কারুবাসায় ৷ অসমের গামছার ব্লাউজ, পাঞ্জাবী, ড্রেস, কুর্তা, জ্যাকেট সবই রয়েছে ৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

আগাম জানিয়ে রাখা ভাল, এবারের শীতে কিন্তু কলকাতার ঠাণ্ডায় পড়ার মতো দারুণ সব জ্যাকেট আনছেন টুম্পা ৷ রাজস্থানের ভূজের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসছে মস সিল্কের জ্যাকেট আর স্টোল ৷

বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
দেশজ, সাবেকি, আধুনিকতার জবরদস্ত মিশেলের নাম ‘কারুবাসা’