ইতিমধ্যেই পাড়ায় পুজোর প্যান্ডেলে বাঁশের আওয়াজ ঠুকঠাক করে কানে বেজে উঠছে নানান সুর ৷ শরতের শিউলি তার মিষ্টি মধুর গন্ধে আকাশ বাতাস মাতিয়ে রেখেছে ৷ প্রতিটি মুহূর্তেই যেন জানান দিচ্ছে পুজোর আর বেশি বাকি নেই ৷
পুজো আসছে মানেই নিঝুম দুপুরে বাবা মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিশ্রাম না করে পাড়ার প্যান্ডেল বা চৌধুরীবাড়ির পুজোর ঠাকুর দালান ৷ চারিদিকের প্রেমের পরিবেশ-শাড়ি পরে মা কাকিমারা এদিকে ওদিকে ঘুরছেন ৷ ভাতঘুমে চোখ বুজে এলেও চোখ টানটান করে বসে থাকা কখন তাকে দেখতে পাওয়া যায় এই আশায় ৷
advertisement
স্কুলের ছুটি, পুজোর মজা, মামাবাড়ি, বন্ধুবান্ধব, মায়ের আদর এই সবকিছুই পুজোর প্রাপ্তি ছিল ৷ পুজোয় মামা বাড়ি মানেই বারেবারে মনে পড়ে কালো বর্ডার দেওয়া লাল মেঝে, লক্ষ্মী ঘিয়ের মিষ্টি গন্ধ, মায়ের হাতের তৈরি কাল কাপড়ের উপর সাদা সূতোয় তৈরি রবীন্দ্রনাথ ৷ বিশ্বভারতীর প্রকাশনায় রবীন্দ্রনাথ, বাবার রবীন্দ্রপ্রীতি ৷
সেকাল একাল মিলিয়ে আজও পুজো এলে মন চঞ্চল হয়ে ওঠে মনে পড়ে বাবার কথা ৷ কোলে নিয়ে প্যান্ডেলে ঘোরা, হরেক সমস্যার সমাধান এক নিমেষেই ৷ তখনও পুজোর মজা আগে যেমন ছিল এখনও ঠিক তেমনই আছে ৷ সময় বদলেছে বেড়েছে দায়দায়িত্ব ৷ হাসিকান্না হীরাপান্নায় আনন্দের চারচারটি দিন ৷ আমার পুজো, তোমার পুজো, সবার পুজো ৷