TRENDING:

প্রথম মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রথমে পড়তেই অনুমতি দেয়নি মেডিক্যাল কলেজ

Last Updated:

বাংলার রেনেসাঁর হাত ধরে তাই জ্ঞানের আলো এসে পৌঁছেছিল কাদম্বিনীর দুয়ারে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#‌কলকাতা:‌ সে উজ্জ্বল ইতিহাস বলা চলে। ভারতের ইতিহাসে তো বটেই, বিশেষত বাংলার ইতিহাসে। কারণ, তিনি বাংলার কন্যা। তিনি কাদম্বিনী গাঙ্গুলি। বরিশালে এক গোঁড়া পরিবারে জন্ম হলেও বাবা ব্রজকিশোর বসু ছিলেন ব্রাহ্ম। বাংলার রেনেসাঁর হাত ধরে তাই জ্ঞানের আলো এসে পৌঁছেছিল কাদম্বিনীর দুয়ারে। কিন্তু গাঁয়ে না হয় মহিলা বলে পড়াশোনায় এত বাধা, কিন্তু শহরেও যে বাধার মুখে পড়তে হবে কাদম্বিনীকে, সেটা কে ভেবেছিল?‌
advertisement

দ্বারকানাথকে বিবাহের পর হোক, বা আগে থেকেই চিকিৎসা বিদ্যার প্রতি কাদম্বিনীর আগ্রহ ছিল। সেই কারণেই তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু মহিলা বলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্রথমে স্থান পাননি কাদম্বিনী। তাঁকে ভর্তি করতেই অস্বীকার করে মেডিকেল মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। তখম বৃটিশ শাসনের ভারত। সে যুগে অন্দরমহল ছেড়ে ‘‌মেয়েমানুষ’‌ স্কুল কলেজ করতে শুরু করেছিল বটে কিন্তু অনেকেই সেটা সোজা চোখে দেখেননি। তার ওপর কাদম্বিনী চেয়েছিলেন চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে, যার অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবতেই পারেনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নিত্যনতুন গাছ লাগানোর শখ? 'এই' গাছ বাজার থেকে সুলভ মূল্যে কিনুন ফুল-ফল-বাহারি গাছ!
আরও দেখুন

কিন্তু কাদম্বিনী আর দ্বারকানাথ ছিলেন নাছোড়বান্দা। তাঁরা প্রথমে ভর্তির অনুরোধ করলেও পরে সরাসরি আইনি পদক্ষেপ করার হুমকি দিলে মেডিক্যাল কলেজ কাদম্বিনীকে ভর্তি করতে বাধ্য হয়। এরপর ১৮৮৬ সালে তিনি পাশ করেন। হন প্রথম মহিলা চিকিৎসক, যিনি বিদেশি চিকিৎসা চর্চা করতে পারবেন। তখন যে ডিগ্রি দেওয়া হত, তাকে বলা হত GBMC (Graduate of Bengal Medical College)। সেই ডিগ্রি নিয়ে প্রথম মহিলা চিকিৎসক হন কাদম্বিনী। সেদিন তাঁর পাশাপাশি একই ডিগ্রি পেয়েছিলেন আরও একজন, তার নাম আনন্দী গোপাল যোশি। তিনিও মহিলা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
প্রথম মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রথমে পড়তেই অনুমতি দেয়নি মেডিক্যাল কলেজ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল