শুধু খবর বিনিময় নয়... খুনসুটি, ভালবাসার বহিঃপ্রকাশও হত চিঠি মারফত! এমনই এক শীতের দিনে স্ত্রী মৃণালিনী দেবীকে কবি লিখেছিলেন--
ভাই ছুটি,
বড় হোক ছোট হোক ভাল হোক মন্দ হোক একটা করে চিঠি আমাকে রোজ লেখ না কেন ? ডাকের সময় চিঠি না পেলে ভারি খালি ঠেকে। আজ আবার বিশেষ করে তোমার চিঠির অপেক্ষা করছিলুম-- রথী আসবে কিনা তোমার আজকের সকালের চিঠিতে জানতে পারব মনে করেছিলুম। যাই হোক চিঠি না পেলে কি রকম লাগে তোমাকে দেখাবার ইচ্ছা আছে। কাল বিকালে আমরা বোলপুরে চলে যাচ্ছি অতএব এ চিঠির উত্তর তোমাকে আর লিখতে হবে না--একদিন ছুটি পাবে। রবিবার সকালে এসে আশা করি তোমার একখানা চিঠি পাওয়া যাবে। শনিবারে আমরা শান্তিনিকেতনে থাকব, সেদিন আমিও চিঠি লিখতে সময় পাব না।
advertisement
নায়েবের ভাইয়ের খবর কি? নীতুর লিভার আজ পরীক্ষা করে দেখা গেল সেটা সম্পূর্ণ কমে গেছে--এখন কেবল তার কাশি এবং জ্বরটা কমলেই তাকে মধুপুরে পাঠাবার বন্দোবস্ত করা যাবে। জ্বর খুব অল্প অল্প করে কমচে--অমাবস্যা গেলে হয়ত ছাড়তে পারে।
তোমাদের বাগান এখন কি রকম ? কিছু ফসল পাচ্চ ? কড়াইসুটি কতদিনে ধরবে ? ইঁদারায় ফটিক রোজ ফটকিরি দিচ্ছে ত ? জল সাফ হচ্ছে ? আমুন বামনীতে কি ভাবে চলছে ? বিমলা সম্বন্ধে তোমার মত আমাকে শীঘ্র লিখো। ৭ই পৌষের লেকাটা নানা বাধার মথ্যে লিখচি এখনো শেষ হয় নি। এখন সেই লেখাটাতে হাত দিই গে যাই।
রবি