সে ১৭৭৪ সালের কথা। রানি জানকীর হাত ধরে মহিষাদল রাজবাড়িতে শুরু হয়েছিল মা দুর্গার পুজো।
একসময় রাজবাড়ির তোপধ্বনির আওয়াজ শুনে গাঁয়ের মানুষজন পুজোয় আসতেন। কিন্তু পরিবেশের কথা ভেবেই সে প্রথা আজ বন্ধ। রূপকথার স্মৃতি গায়ে মেখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে কামানটা।
তখন আড়ম্বরও ছিল দেখার মত। কেদার-বদ্রী থেকে আনা হত ১০৮ নীলপদ্ম। অষ্টমীতে আটমন চালের ভোগ রাঁধা হত। কিন্তু কালের নিয়মে সেসব এখন হারিয়ে গিয়েছে। তবু প্রাচীন এতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন রাজবাড়ির সদস্যরা।
advertisement
আজও প্রতিপদ থেকে শুরু হয় পুজো। রাজবাড়ির মহিলারা পর্দার আড়াল থেকে পুজোয় অংশ নেন। রাজবাড়ির পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে অনেক অজানা ইতিহাস।
ইতিহাস আর ঐতিহ্যের টানেই আজও মানুষ ভিড় করেন রাজবাড়িতে। পুজোর কটা দিন গমগম করে রাজবাড়ির দালান... ধূপধুনো..শিউলির গন্ধ আর ঝাড়বাতিগুলো আলো করে রাখে চারপাশ। প্রতিপদ থেকে দশমীর হইহুল্লোর মিলিয়ে যায় রাজদীঘির বিসর্জনে...তারপর আবারও একটা বছরের অপেক্ষা...