চিকিৎসকদের দাবি, মানব দেহে উচ্চ রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরি হয় করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর থেকে। কারণ ওই সময় শরীরে অ্যান্টিবডির সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেটা ৯০ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা একজন ব্যক্তির শরীরে কিছুটা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আবার কিছু ক্ষেত্রে প্রতিরোধ ক্ষমতা স্থায়ীও হতে পারে। তবে যাঁদের শরীরে আগে থেকে জটিল রোগ রয়েছে এবং বয়সে প্রবীণদের ক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে করোনা থেকে সেরে ওঠার ৩ মাস পর থেকে মানব দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে সেই সময় টিকা নেওয়া পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
করোনা টিকা দেহে কৃত্রিম ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কিছু চিকিৎসক আবার মনে করেন মানব দেহে কৃত্রিম রোগ প্রতিরোধের থেকে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি কার্যকরী। কারণ প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা মানব দেহে ৯৯.৯৯ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম, অপর দিকে ভ্যাকসিনের প্রয়োগে সৃষ্টি করা কৃত্রিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ৯০ থেকে ৯৪.৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।
বর্তমানে করোনা ভাইরাস নিজের মিউটেশন পরিবর্তন করে নতুন সংক্রমণে ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। কিছু ক্ষেত্রে টিকা দেওয়ার পরেও করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তবে, মনে রাখতে হবে এমন ঘটনা খুব কম এবং মৃত রোগীদের অন্য জটিল রোগেও ভুগতে দেখা গিয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি তাঁদের পরামর্শ মতোই সকলের টিকা নেওয়া প্রয়োজন।
ইতিমধ্যেই, দেশের তৈরি দু'টি টিকার প্রয়োগ চলছে। ভারত সিরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute of India) তৈরি টিকা কেনিয়ার মাচাকোসে পাঠানো হয়েছে। সংস্থার দাবি বিশ্বব্যাপী COVAX উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন পথ খুলবে। করোনার বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হবে। জাতিসংঘের সমর্থনে এই বছরের শেষের দিকে COVAX গোটা বিশ্বের দেশগুলিতে বিতরণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।