ফলে, লড়াই চলছেই, সোমবার যার চরম রূপ উঠে এল প্রকাশ্যে। কিন্তু এই লড়াই যাতে এড়ানো যায়, সেই মর্মে ১৯৬৯ সালে একটি শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল, কেন না ১৯৬৭ সাল থেকেই এই ভূমির অধিকার নিয়ে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়েছিল আরব এবং ইজরায়েল। তার পর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের ভার ন্যস্ত হয় ওয়াকফ বোর্ডের হাতে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) সাফ বলছেন যে তাঁরা সমগ্র ভূমির অধিকার চান না, কিন্তু তার পরেও লড়াই থামছে না। কেন না, ইহুদিদের এই পবিত্র ভূমিতে প্রবেশাধিকার নিয়ে মাঝে মাঝেই প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিচ্ছে।
advertisement
সোমবারের সংঘর্ষের কিছু আগেও এই ভূমির অধিকার নিয়ে আরব এবং ইহুদিদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধেছিল। এক্ষেত্রে ইহুদিদের আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁরাও পরের ধাপে আরবদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে শহর জুড়ে মিছিল করেন। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে ১৯৯০ সালে ইহুদিরা মসজিদের ভিতরে তাঁদের উপাসনালয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে চাইলে তা নিয়ে গুরুতর সংঘর্ষ বেঁধে যায়, সেবার মধ্যস্থতায় ইউনাইটেড স্টেটসকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। আবার ২০০ সালেো এই নিয়েও গোলযোগ দেখা দেয়, ২০১৭ সালে যা চরমে পৌঁছয়, সেবার সংঘর্ষে ইজরায়েলের দুই পুলিশকর্মীর মৃত্যু ঘটে। সব মিলিয়ে আপাতত পুণ্যভূমিতে কত দিন শান্তি বিরাজ করবে, তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহের মধ্যে রয়েছে বিশ্ব।