কংগ্রেস (I) ও কংগ্রেস (A)-এর ইতিহাস:
'I' বলতে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে (Indira Gandhi) বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উঠে আসছে। সেই সময়ে নির্বাচনের ফলাফলে বড় ধাক্কা খেতে হয় কংগ্রেসকে। এর জেরে ১৯৭৮ সালে দলের মধ্যেই একটি অন্তর্ঘাত স্পষ্ট হয়। ইন্দিরা গান্ধীর সমর্থকরা এক হয়ে একটি দল তৈরি করে ফেলেন। নাম দেন কংগ্রেস (I)। এর আগে এই সমর্থকরাই কংগ্রেস (R) হিসেবে পরিচিতি ছিল।
advertisement
অন্য দিকে, কে কামরাজের (K. Kamaraj) নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস (O)-কে মূল কংগ্রেস হিসেবে দেখা হত। এর পর সেখানেও বিভেদ স্পষ্ট হয়। আর ঠিক এখান থেকেই ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধী সমর্থকরা আর একটি কংগ্রেস দল তৈরি করেন। কেরলের অভিজ্ঞ নেতা এ কে অ্যান্টনির (A. K. Antony) নেতৃত্বে একটি কংগ্রেস দল তৈরি হয়। এর নাম কংগ্রেস (A)। ১৯৮০ সালে স্বতন্ত্র দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। এ নিয়ে নানা বিবাদ ও মতভেদও দেখা দেয়।
বামদলের দিকে ঘেঁষতে শুরু করেন কংগ্রেস প্রার্থীরা:
অভ্যন্তরীণ গোলযোগে তৈরি হওয়া দল যে বেশি দিন টিকবে না, তার একটা আভাস পাওয়া গিয়েছিল। তবে এর মাঝেই কোনও রকম ভারসাম্য বজায় রেখে সরকার চালানো শুরু হয়। এক দিকে কংগ্রেস (A) নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করা হয়। অন্য দিকে পার্টির রাজ্য সভাপতির পদ দেওয়া হয় কংগ্রেস (I) নেতাকে। কিন্তু এ ভাবে বেশি দিন চালানো যায়নি। দুই দলের সমর্থকরাই ধীরে ধীরে লেফ্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সঙ্গে হাত মেলাতে শুরু করে।
বর্তমানে কোন পরিস্থিতিতে দুই দল?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেসের মধ্যেই না কি মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা চলছে। চেয়ারের টানে দুই দিকে ছোটাছুটি করছেন নেতারা। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন সূত্রে খবর, আপাতত কংগ্রেস (A)-এর পাল্লা ভারী। কারণ কংগ্রেসের (I)-এর তুলনায় এই দলটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বেশি কাছের। ২০১৩ সালে দু'টি দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। তবে তার পর সব থিতিয়ে যায়। বর্তমানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই ঘাত-প্রতিঘাত ফের স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।