ঠাণ্ডা ও উষ্ণ বাতাস যখন একসঙ্গে মিলিত হয়, তখন বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। ঠাণ্ডা বাতাসের মধ্যে বরফের স্ফটিক রয়েছে। আর উষ্ণ বাতাসের মধ্যে জলের ফোঁটা রয়েছে। ঝড়ের সময় জল ও বরফের স্ফটিক একসঙ্গে মিশে বৈদ্যুতিক চার্জ তৈরি করে। মেঘের মধ্যে ব্যাটারির মতোই প্লাস (plus) এবং মাইনাসের (minus) দু'টি প্রান্ত থাকে। যা কি না বিদ্যুৎ তৈরি করতে সক্ষম। ব্যাটারির প্লাস অংশ মেঘের মধ্যেই থাকে, মাইনাস অংশ ভূমিকে ধরা হয়। এভাবেই, শক্তিশালী বিদ্যুৎ বজ্রপাতে পরিণত হয়ে ভূমিতে নেমে আসে। সেই সময় উঁচু যে কোনও কিছু অবলম্বন করে বজ্রপাত ঘটায়, যা প্রচণ্ড বড় বিস্ফোরণের শব্দের মতো শোনায়।
advertisement
বজ্রপাতকে সবসময় বিপজ্জনক হিসাবে ধরা হয়।
যে কোনও খোলা জায়গা থেকে দূরে থাকাই এই সময় বাঞ্ছনীয়।
গাছের নিচে না থাকায় ভালো।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার সব থেকে ভালো জায়গা ইটের ছাদওয়ালা বাড়ি।
ঝড়ের সময় নদী বা পুকুরে একদমই থাকা উচিত নয়।
মেঘে বিদ্যুৎ তৈরি হওয়ার পর তা নিজের এলাকার ২০ মাইলের পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার যে কোনও অংশে বজ্রপাত হয়ে পড়তে পারে।
ঝড়বৃষ্টির সময় যে কোনও ইলেকট্রনিক্স গুডস আনপ্লাগ করে রাখাই ভালো।
হাতের মধ্যে যে কোনও ধাতব বস্তু বা ছাতা নিয়ে না বেরোনই ভালো।
ঝড়-বৃষ্টির সময় কাছে পিঠের এলাকায় বজ্রপাত হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ বুঝতে পারা যায়। যেগুলি হল মাথার চুল দাঁড়িয়ে যায়। শরীরের রোমকূপ দাঁড়িয়ে যায়। যদি এমনটা হয় তাহলেই নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে হবে। কাছে পিঠে নিরাপদ জায়গা না পেলে যতটা সম্ভব মাটির কাছাকাছি মাথা নিচু করে বসে পড়তে হবে।