২০০৫ সালের Right To Information অ্যাক্ট আদতে কী?
দেশের নাগরিক সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে যে কোনও তথ্য জানতে চাইতে পারে। এই তথ্য জানার অধিকার এবং আবেদন করার পদ্ধতিই Right To Information নামে সুপরিচিত। সংবিধানের এই অ্যাক্ট অনুসারে জনৈক নাগরিকের আবেদন করার ৩০ দিনের মধ্যে সরকারি কর্তৃপক্ষ সেই তথ্য দিতে বাধ্য থাকে।
advertisement
অ্যাক্টের অধীন Information বা তথ্য কী কী হতে পারে?
তথ্যের বস্তুত নানা ফর্ম্যাট থাকতে পারে, এর মধ্যে বেশ কিছু ফর্ম্যাট আবার ইলেকট্রনিকও, যেমন- রেকর্ড, ডকুমেন্ট, মেইল, ওপিনিয়ন, প্রেস রিলিজ, অর্ডার, রিপোর্ট ডেটা ইত্যাদি। প্রসঙ্গত, সরকারি কর্তৃপক্ষের অধীনে যদি কোনও পাবলিক বডি থাকে, তাহলে তার তথ্যও নাগরিকের জানার অধিকার আছে।
Right To Information অ্যাক্ট অনুসারে কী ধরনের তথ্য জানতে পারা যায়?
সহজ ভাবে বললে নাগরিক সরকারের কাজকর্ম সম্পর্কিত যে কোনও ধরনের তথ্য জানতে চাইতে পারে। তাই যে কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠান, এমনকি সংসদীয় নথিও নাগরিককে দেখার এবং জানার অধিকার দিয়ে থাকে এই আইন।
RTI কী ভাবে ফাইল করতে হয়?
নাগরিককে এক্ষেত্রে Public Information Officer, সংক্ষেপে PIO-র সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। সঙ্গে ফি জমা করতে হয় ১০ টাকা। ৩০ দিনের মধ্যে উত্তর না পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে Central Information Commission, সংক্ষেপে CIC-এর কাছে আবেদন জানানো যায়।
আবেদনপত্রের বিশেষ কোনও ধরন আছে কি?
না, নাগরিক যে ভাবে স্বচ্ছন্দবোধ করবেন, সে ভাবেই আবেদন করতে পারেন। তবে আবেদনপত্রে যে তথ্য চাওয়া আছে সে সম্পর্কে যতটা বিশদে সম্ভব উল্লেখ করতে হবে, একই সঙ্গে নাম এবং ঠিকানা থাকাও আবশ্যক।
RTI Act কি নাগরিককে সম্পূর্ণ তথ্য দেয়?
ক্ষেত্রবিশেষে RTI Act নাগরিককে আংশিক তথ্যও দিতে পারে, এই বিষয়ে আইনের ১০ নম্বর ধারায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আবেদনপত্রে তথ্য কেন জানতে চাওয়া হচ্ছে সেটা উল্লেখ করার প্রয়োজন পড়ে?
না, এই বিষয়টি আবেদকের ইচ্ছাধীন- প্রয়োজন মনে হলে তিনি করতে পারেন, না করলেও অসুবিধা নেই।
PIO কি তথ্যদানে অস্বীকার করতে পারে?
RTI Act-এর ৮ নম্বর ধারায় এই বিষয়ে PIO-কে ১১টি ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রবিশেষে PIO তথ্যদানে আইনত অস্বীকার করতে পারে। এগুলি হল- বিদেশ সরকারের গোপন নথি, দেশের নিরাপত্তা রক্ষার পক্ষে হানিকর তথ্য, সরকারের কূটনৈতিক তথ্য, দেশের উন্নতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাননীতি এবং অর্থনীতি, আইনসভার বিশেষ কোনও নীতির লঙ্ঘন সংক্রান্ত বিষয় ইত্যাদি।
এমন কোনও সংগঠন কি আছে যাকে এই আইনের আওতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়?
সরকারের বেশ কিছু গোয়েন্দা এবং সুরক্ষা দফতর এই আইনের হাত থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। যদি দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘণ করা না হয়, তাহলে এই সংগঠনগুলো নাগরিকের আবেদনের প্রত্যুত্তরে তথ্য দিতে বাধ্য নয়। এই বিষয়টি আইনের দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় স্বীকৃত হয়েছে।