TRENDING:

Cryptocurrency Vs Digital Rupee: Explained: ক্রিপ্টোর সঙ্গে ভারতের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রার আকাশপাতাল তফাত, জানা খুব জরুরি

Last Updated:

Cryptocurrency Vs Digital Rupee: আয়কর রিটার্ন ফর্মে ডিজিটাল মুদ্রা থেকে আয়ের বিশদ বিবরণ দেওয়ার জন্য আলাদা জায়গাও থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং নন ফাঞ্জিবল টোকেন থেকে আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে। বাজেটে এমনই ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। আয়কর রিটার্ন ফর্মে ডিজিটাল মুদ্রা থেকে আয়ের বিশদ বিবরণ দেওয়ার জন্য আলাদা জায়গাও থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
পার্থক্য জানা জরুরি
পার্থক্য জানা জরুরি
advertisement

এই ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ক্রিপ্টো এবং এনএফটি বিনিয়োগকারীরা। কারণ কিছুদিন আগেই ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু এর উপর কর চাপানোর অর্থ হল, এখনই ক্রিপ্টো নিষিদ্ধ হচ্ছে না। তবে এটাকে সরকারি স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি। এখন অদূর ভবিষ্যতে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কেন্দ্র কী অবস্থান নেয়, সেটাই দেখার।

একই সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ভারতের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা চালুর ঘোষণাও করেছেন অর্থমন্ত্রী। যা সিবিডিসি (CBDC) বা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি নামে পরিচিত হবে। নির্মলা জানিয়েছেন, ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে কয়েক মাস ধরে কাজ চলছে। আগামী অর্থবর্ষ থেকেই এটা চালু হয়ে যাবে। তাঁর কথায়, ‘ডিজিটাল অর্থনীতিকে উৎসাহ দিতে ডিজিটাল কারেন্সি আনছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ফলে মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে’।

advertisement

আরও পড়ুন: বাজেটে প্রবীণ নাগরিকদের আয়কর স্ল্যাবে কোনও বদল হল? যা জানতেই হবে!

তবে ডিজিটাল সম্পদের উপর কর ঘোষণা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত। তাঁরা ভাবছেন সিবিডিসি বা ভারতের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রার উপরেও বুঝি কর দিতে হবে। আসলে তা নয়। ডিজিটাল মুদ্রা আদতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা এনএফটি-র মতো ডিজিটাল সম্পদ নয়। এটা সরকার কর্তৃক ইস্যু করা কয়েন বা কাগজের মুদ্রার ইলেকট্রনিক রূপ। অতিমারি আবহে সাধারণ মানুষ যে ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার শুরু করেছে, সেখানে স্বচ্ছন্দে ডিজিটাল মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি রাখতে পারবে, কিন্তু সেগুলি বিনিময়যোগ্য নয়।

advertisement

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কের লকার ভাড়া নেওয়ার নিয়মে বড় বদল! যা জানতেই হবে...

সাদা বাংলায় বললে, এখন থেকে দেশে দুই ধরনের টাকা হবে, একটি ছাপা কাগজে। অন্যটি ডিজিটাল মাধ্যমে। দু’টি দিয়েই একই ধরনের কাজ করা যাবে। দৈনন্দিন লেনদেনেও ব্যবহার করা যাবে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য কারও কাছে ডিজিটাল মুদ্রা প্রেরণ করতেও কোনও বাধা নেই। একবার সেই টাকা ব্যাঙ্ক বা এটিএম থেকে তুলে নিলেই ডিজিটাল মুদ্রা নগদে রূপান্তরিত হবে। অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহারে তৈরি হলেও তা ব্যক্তি মালিকাধীন। সরকারি স্বীকৃতি নেই। অধিকাংশ দেশই ক্রিপ্টোকে স্বীকৃতি দেয়নি।

advertisement

আরও পড়ুন: ডিজিটাল রুপি আসছে দেশে, এটি কাজ করবে কীভাবে? ক্রিপ্টোর সঙ্গে ফারাকই বা কোথায়?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
সাপের ভয়ঙ্কর যম 'এটি'! ধীরে ধীরে কমছে সংখ্যা, বিলুপ্ত হলে বাড়বে মৃত্যু,কী বলছেন আধিকারিক
আরও দেখুন

এখন ডিজিটাল মুদ্রার এনক্রিপশনের প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাকিং বা চুরি ঠেকাতে ব্যাঙ্কিং অ্যাপ এবং ডিজিটাল ওয়ালেটগুলিতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড, দরকারে বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ দিয়ে সুরক্ষিত করতে হবে। তবে মৌলিক পার্থক্য হল, ডিজিটাল মুদ্রা ইস্যু করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি বিকেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা। কোনও সরকার এর নিয়ন্ত্রণ করে না। তবে সমস্ত ক্রিপ্টো লেনদেনের রেকর্ড নথিভুক্ত হয়। যা সবার জন্য উপলব্ধ। পাশপাশি ডিজিটাল মুদ্রা স্থিতিশীল, লেনদেন এবং পরিচালনা করা সহজ। বিশ্ববাজারেও ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়। কিন্তু ক্রিপ্টোর বাজার অস্থির। ফলে প্রতিনিয়ত এর দর ওঠানামা করে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Cryptocurrency Vs Digital Rupee: Explained: ক্রিপ্টোর সঙ্গে ভারতের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রার আকাশপাতাল তফাত, জানা খুব জরুরি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল