এনপিএস বা ন্যাশনাল পেনশন স্কিম
এই প্রকল্পে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়স অবধি সরকারি, বেসরকারি এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের যে কোনও কর্মী এবং ভারতীয় ও অনাবাসী ভারতীয়রা স্বেচ্ছায় বিনিয়োগ করতে পারেন। পোস্ট অফিস, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক-সহ মোট ৫৮টি সংস্থার কাছে এনপিএস প্রকল্প খোলা যায়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিয়মিত টাকা দেওয়ার সুযোগ আছে। যা পরবর্তীকালে পেনশন হিসেবে পাবেন গ্রাহক।
advertisement
আরও পড়ুন- ভালবাসার উদযাপন না মুনাফার বাজার? ভ্যালেন্টাইনস ডে নিয়ে চমকে দেবে 'এই' তথ্যগুলো
এনপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার সময় গ্রাহককে দুটি বিকল্প দেওয়া হয়- অ্যাক্টিভ এবং অটো মোড। তাছাড়াও অ্যানুইটির জন্য কত টাকা বিনিয়োগ করবেন, তা নির্ধারণ করারও সুযোগ আছে গ্রাহকদের কাছে। ওই গ্রাহক কত টাকা পেনশন পাবেন, তা সেই অ্যানুইটির উপর নির্ভর করছে। অ্যানুইটির জন্য গ্রাহককে নেট এনপিএস ম্যাচুরিটি অর্থের ন্যূনতম ৪০ শতাংশ ঢালতে হয়। যদি কোনও গ্রাহক বেশি পেনশন চান, তাহলে তাহলে তাঁকে নেট এনপিএস ম্যাচুরিটি অর্থের হার বাড়াতে হবে।
এনপিএস-এর লাভ
আয়কর আইন ১৯৬১-এর ধারা ৮০ সিসিডি (১) অনুযায়ী এনপিএস-এ বিনিয়োগকৃত অর্থের ৬০ শতাংশ করমুক্ত। ৪০ শতাংশ অর্থের উপর কর দিতে হয়। এ ছাড়াও ধারা ৮০ সিসিডি (১বি) অনুযায়ী, শুধুমাত্র এনপিএস -এ বিনিয়োগ করে অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকার কর ছাড় দাবি করা সম্ভব।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ
মেয়াদ ১৫ বছর। প্রতি ত্রৈমাসিকে এর সুদের হার নির্ধারণ করে সরকার। বর্তমানে সুদের হার ৭.১ শতাংশ। এখন যদি কেউ প্রতি বছরে পিপিএফে দেড় লক্ষ টাকা জমা করেন তাহলে ১৫ বছর পর ৭.১ শতাংশ সুদের হারে তা ৪০.৬৮ লক্ষ টাকা হবে। ম্যাচুরিটি হওয়ার পর এই পুরো টাকা তুলে নেওয়া যায়।তবে আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেওয়ার স্বাধীনতাও রয়েছে। বছরে জমা করা দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর আইনের ৮০সি ধারার আওতায় ছাড় পাওয়া যাবে আর অর্জিত সুদের ওপর কোনও কর বসবে না।
আরও পড়ুন- কানাডায় কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কারণ কী? বিক্ষোভে সামিল কারা
পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণও নেওয়া যায়। নিয়ম অনুসারে অ্যাকাউন্ট খোলার তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বছরের মধ্যে ঋণ পাওয়া যায়। এই ঋণ ৩৬ মাসের মধ্যে শোধ দিতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার সাত বছর থেকে সঞ্চিত অর্থের কিছুটা অংশ তুলে নেওয়া যায়। তবে ঋণ আর মিলবে না।