ক্রুড অয়েলের মূল্যবৃদ্ধি:
পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কতটা থাকবে, তা নির্ভর করে বিশ্ববাজারে ক্রুড অয়েলের দামের উপরে। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে ক্রুড অয়েলের দাম ২০২০ সালের এপ্রিলে লকডাউনের কালে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু অক্টোবর থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। প্রতি ব্যারেলে সেই সময়ে দাম ছিল ৪০.১ ডলার। কিন্তু এখন ব্যারেল পিছু দিতে হচ্ছে ৬৩.৭ ডলার।
advertisement
জ্বালানির জোগান:
সৌদি আরব এর মধ্যে তার তেল সরবরাহের কোটা কমিয়ে দিয়েছে দিন পিছু এক মিলিয়ন ব্যারেল করে। সেই মতো আপাতত পাওয়া যাচ্ছে দিন পিছু ৮.১২৫ মিলিয়ন ব্যারেল। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। অথচ চাহিদা বেশি, তাই দামও বাড়ছে।
কেন্দ্র এবং রাজ্যের কর:
রাজস্ব ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয় তরফেই আবগারি শুল্কের পাশাপাশি বিক্রয় কর বেড়ে গিয়েছে। রাজধানীর ক্ষেত্রে যেমন করের অঙ্কটা পেট্রোলের বেস প্রাইসের ১৮০ শতাংশ এবং ডিজেলের ক্ষেত্রে ১৪১ শতাংশ; ফলে দামও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।
চাহিদা এবং জোগান:
পরিসংখ্যান বলছে যে এই বিষয়টিও পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত। যেমন দেশের যে সব এলাকা ডিজেল-নির্ভর সেচব্যবস্থার উপরে নির্ভরশীল ছিল, অপর্যাপ্ত বর্ষণ সেখানে চাহিদা বাড়াতে পারে। চাহিদা বাড়লে মূল্যবৃদ্ধি অর্থনীতির প্রাথমিক সূত্রের মধ্যেই পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই পরিস্থিতি খুব সম্ভবত এখনই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। দেশের শহরাঞ্চল যে সেটা বিলক্ষণ বুঝতেও পারছে, তা বলা বাহুল্য!