TRENDING:

চেক বাউন্স করলে হতে পারে হাজতবাসও, দেশের এই সংক্রান্ত আইন নিয়ে জেনে রাখুন বিশদে

Last Updated:

এই আইন সম্পর্কে এবার বিশদে জানাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রাচী মিশ্র (Prachi Mshra)।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: চেক বাউন্স করা মানে কোনও একজনকে তাঁর প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত করা! তাই দেশের আইন অনুযায়ী তা ক্রিমিনাল অফেন্সের মধ্যে পড়ে। এই আইন সম্পর্কে এবার বিশদে জানাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রাচী মিশ্র (Prachi Mshra)।
advertisement

চেক বাউন্স বা চেক ডিজঅনার ঘটনাটি আদতে কী?

জনৈক ব্যক্তি যদি কারও পাওনা চেকের মাধ্যমে মেটান এবং ব্যাঙ্ক সেই টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দিতে অস্বীকার করে, তবে তাকে চেক বাউন্স বা চেক ডিজঅনার বলা হয়। বেশির ভাগ সময়েই অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকার দরুণ এমন ঘটনা ঘটে।

চেক বাউন্স করলে পাওনাদার কী পদক্ষেপ করতে পারেন?

advertisement

এক্ষেত্রে পাওনাদার Negotiable Instrument Act, ১৮৮১-র ১৩৮ ধারা অনুযায়ী লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারেন এবং অর্থপ্রাপ্তির জন্য সিভিল কেসও করতে পারেন।

Negotiable Instrument Act, ১৮৮১-র ১৩৮ ধারা অনুযায়ী লিখিত অভিযোগ দায়ের কী ভাবে করা যায়?

চেক বাউন্স করার ৩০ দিনের মধ্যে পাওনাদারকে একটি ডিমান্ডনোটিশ পাঠাতে হয়। এই নোটি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেও যদি টাকা পাওয়া না যায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দাখিল করা চলে।

advertisement

চেক বাউন্স করা কি ক্রিমিনাল অফেন্সের মধ্যে পড়ে?

Negotiable Instrument Act, ১৮৮১-র ১৩৮ ধারা অনুযায়ী এটি অবশ্যই ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে গণ্য করা হয়।

এক্ষেত্রে যিনি চেক দিয়েছেন, তাঁর কী শাস্তি হয়ে থাকে?

Negotiable Instrument Act, ১৮৮১-র ১৩৮ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুই বছর হাজতবাস বা চেকের অঙ্কে দ্বিগুণ জরিমানা বা দুই ক্ষেত্রবিশেষে শাস্তি হিসেবে ধার্য করা হয়।

advertisement

চেক বাউন্স করলে কি ক্রিমিনাল এবং সিভিল কেস একই সঙ্গে দায়ের করা যায়?

হ্যাঁ।

যদি গ্যারান্টারের অ্যাকাউন্ট থেকে চেক বাউন্স হয়?

এক্ষেত্রেও বিষয়টি Negotiable Instrument Act, ১৮৮১-র ১৩৮ ধারা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে, কেন না গ্যারান্টার তাঁর দায়বদ্ধতা এড়াতে পারেন না।

কোন কোন ক্ষেত্রে চেক বাউন্স দণ্ডনীয় অপরাধ নয়?

advertisement

১. টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও কেউ যদি চেক মারফত অ্যাডভান্স পেমেন্ট করেন।

২. চেক যদি সিকিউরিটি হিসেবে দেওয়া হয়।

৩. বানানে লেখা এবং সংখ্যায় লেখা টাকার অঙ্কে যদি গরমিল থাকে।

৪. যদি চেকদাতার অ্যাটেস্টেশন জরুরি হয়।

৫. চেক যদি ছিঁড়ে যায়।

৬. কোনও সংস্থায় উপহার বা অনুদান হিসেবে চেক দিলে।

চেকদাতা টাকা দিতে সম্মত হলে কী হয়?

চেকদাতা যদি আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুদে-আসলে এবং জরিমানা সমেত পুরো টাকা মিটিয়ে দেন, তাহলে মামলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কত বার চেক বাউন্স করলে মামলা করা যায়?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
উঠতি ফুটবলারদের জন্য দারুণ মঞ্চ! কাটোয়ায় শুরু শতাব্দী প্রাচীন ফুটবল টুর্নামেন্ট
আরও দেখুন

এক্ষেত্রে তিনটি চেক পিছু একটি মামলা গোনা হয়ে থাকে। এই হিসেবে ৬টি চেক বাউন্স হলে দু'টো মামলা দায়ের করা হবে।

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
চেক বাউন্স করলে হতে পারে হাজতবাসও, দেশের এই সংক্রান্ত আইন নিয়ে জেনে রাখুন বিশদে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল