কেন এই ব্যাঙ্ক ধর্মঘট?
গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার সময় দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) সরকারের ডিজইনভেস্টমেন্ট ড্রাইভের (Disinvestment Drive) মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা উপার্জন করতে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেছিলেন। আইডিবিআই (IDBI) ছাড়াও ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশের দু'টি পিএসইউ ব্যাঙ্ক ও জেনারেল ইনসিওরেন্স কোম্পানির বেসরকারিকরণের কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এর প্রতিবাদে আগামী ১৫ এবং ১৬ মার্চ দেশব্যাপী ধর্মঘট ডেকেছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস (United Forum of Bank Unions) বা ইউএফবিইউ (UFBU)।
advertisement
পরিষেবা কতটা বিঘ্নিত হবে?
আগামী ১৩ মার্চ মাসের দ্বিতীয় শনিবার হওয়ায় এমনিই বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। ১৪ মার্চ রবিবার। এই অবস্থায় ১৫ ও ১৬ মার্চের ধর্মঘটের জেরে পর পর চার দিন ব্যাঙ্ক পরিষেবা বন্ধ থাকতে চলেছে। যদিও এই চার দিন এটিএম পরিষেবা স্বাভাবিক ছন্দে থাকবে বলেই জানানো হয়েছে। চেক ক্লিয়ারেন্স (Cheque clearances), নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা, ডিমান্ড ড্রাফ্ট (Demand drafts) ইস্যু ১৭ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরাও কি ধর্মঘটে সামিল হবেন?
এইচডিএফসি (HDFC), আইসিআইসিআই (ICICI), কোটাক মাহিন্দ্রা (Kotak Mahindra), অ্যাক্সিস (Axis) এবং ইন্ডাসইন্ডের (IndusInd) মতো নতুন প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাঙ্কের পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও তা গোটা দেশের ব্যাঙ্ক পরিষেবার এক তৃতীয়াংশ বলে জানানো হয়েছে।
ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের সঙ্গে সরকারের কোনও কথা হয়েছে?
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িস অ্যাসোসিয়েশনের (All India Bank Employees' Association or AIBEA) তরফে জানানো হয়েছে যে ৪, ৯ ও ১০ মার্চ এই ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে তাদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত চিফ লেবার কমিশনার (Additional Chief Labour Commissioner) এসসি জোশীর (SC Joshi) সঙ্গে সেই বৈঠক থেকে কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি বলে জানানো হয়েছে। ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের তরফে জানানো হয় যে সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করলে তবেই ধর্মঘট নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিশ্রুতি না আসায় দেশব্যাপী ব্যাঙ্ক ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে।