রাশিয়া বনাম পশ্চিম -
কোল্ড ওয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার পর ন্যাটো (NATO) রাশিয়ার পশ্চিম অংশ জুড়ে বিস্তার করে প্রায় ১৪টি নতুন দেশ। যা এক সময় সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত ছিল। ইউক্রেন প্রথমে ন্যাটোর সদস্য না হলেও ২০০৮ সালে তারা জয়েন করে ন্যাটো। এর ফলে ২০১৪ সাল থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পশ্চিম অংশ জুড়ে ন্যাটোর সঙ্গে তাদের যৌথ মিলিটারি কার্যকলাপ বেশ অনেকটাই বাড়িয়ে দেন। এই সকল কার্যকলাপে যুক্ত করা হয়েছে আমেরিকার জ্যাভেলিন অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং তুর্কিশ ড্রোন।
advertisement
আরও পড়ুন: ধরে ফেলবে মার্কিন সেনা, বুঝেই নিজেকে উড়িয়ে দিলেন আইএস প্রধান! শিশু সহ নিহত ১৩
জিওগ্রাফি এবং রিসোর্স -
রাশিয়ার পরে ইউরোপের সবথেকে বড় দেশ হল ইউক্রেন। ইউক্রেনে রয়েছে ব্ল্যাক সি-র গুরুত্বপূর্ণ বন্দর এবং চারটি ন্যাটো দেশের সঙ্গে নিজেদের সীমান্ত। ভুট্টা এবং গম রফতানিতে ইউক্রেন অনেকটাই এগিয়ে। ইউরোপ ন্যাচারাল গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপরে নির্ভর করে। রাশিয়ার থেকে সেই প্রধান পাইপলাইন গিয়েছে ইউক্রেনের ওপর দিয়েই। এর ফলে রাশিয়া ইউক্রেনের সেই সকল জায়গার ওপরে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে।
আরও পড়ুন: মেটাভার্সে ঢুকতেই 'গণধর্ষণে'র শিকার ভারতীয় মহিলা, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ভয়ংকর কাণ্ড!
ইতিহাস -
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার ফলে রাশিয়া প্রায় ১৪ টি দেশের ওপর থেকে নিজের আধিপত্য হারিয়ে ফেলে। রাশিয়ার সঙ্গে এমন দুটি দেশের ভাষায় অনেক মিল রয়েছে, যা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পরবর্তীকালে গঠিত হয়। এর মধ্যে একটি দেশ হল বেলারুশ এবং আরেকটি দেশ হল ইউক্রেন। এর ফলে প্রথম থেকেই ইউক্রেনের ওপরে রাশিয়ার আধিপত্য বিস্তার করার একটি প্রয়াস রয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া গেট থেকে উধাও নেতাজি'র হলোগ্রাম মূর্তি, আন্তর্জাতিক 'নিয়মের' সাফাই কেন্দ্রের!
পুতিনের লক্ষ্য -
পুতিন প্রথম থেকেই চান আগের সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় ফিরিয়ে আনতে। এর ফলে রাশিয়া প্রায় ১৪টি দেশের ওপরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হবে। এর ফলে পশ্চিম অংশ জুড়ে রাশিয়াই হয়ে উঠবে প্রধান শক্তি। পশ্চিম অংশ জুড়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার পরে রাশিয়াকে বিশ্বের শক্তিশালী দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করাই পুতিনের লক্ষ্য। এর প্রথম ধাপ তিনি ইউক্রেনের ওপর রেড লাইন দিয়ে শুরু করতে চান।
