কাদের যে কোনও মুহূর্তে অক্সিজেনের দরকার হতে পারে?
করোনাভাইরাস ফুসফুসকে দুর্বল করে তোলে। যাঁরা অনেক দিন ধরেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের বেশি করে হাতের কাছে অক্সিজেন রাখা উচিত। এর মধ্যে হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস, কনজেস্টিন হার্ট ফেলিওর, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, ফুসফুসের ক্যান্সার, নিউমোনিয়া, পালমোনারি ফাইব্রোসিস বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো রোগ রয়েছে।
বিপদকালে ঠিক কতটা অক্সিজেন দেওয়া উচিত রোগীকে?
advertisement
এটা একমাত্র ডাক্তারই বলতে পারবেন ফুসফুস পরীক্ষা করার পরে যে একজন রোগীর প্রতি মিনিটে কতটা অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে। যাঁদের স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো রোগ থাকে, তাঁদের ঘুমের মধ্যে অক্সিজেন দিতে হয়। শারীরিক পরিশ্রম হলে অনেকজনকে অক্সিজেন দিতে হয় কিছুক্ষণের জন্য, আবার অনেকজনকে ২৪ ঘণ্টাই অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়।
স্ট্যান্ডার্ড অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আসলে কী?
অক্সিজেন সিলিন্ডার যে রকম দেখতে হয়, এর সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। এটি দেখতে অনেকটা চাকা লাগানো স্যুটকেসের মতো, এর তলায় চাকা থাকে। যন্ত্রটা একটু ভারি হয়, প্রায় ৫০ পাউন্ডের কাছাকাছি ওজন হয়। সেই জন্যই ঘরের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সুবিধার জন্য তলায় চাকা লাগানো থাকে। প্লাগ ইন করে দেওয়ার পর এটি বিদ্যুতের সাহায্যে বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরি করতে পারে এবং অন্য দূষিত গ্যাসগুলিকে বের করে দেয়। অনেক সময় এর মোটর ব্যাটারি-চালিতও হয়ে থাকে।
কাছে রাখা যায় পোর্টেবল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর
এটির ওজন অপেক্ষাকৃত কম হয় এবং বেশির ভাগ সময়েই ব্যাটারিতে চলে। ফলে কোথাও যাওয়া-আসার সময়েও সহজেই এটি বহন করা যায়।
অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সঙ্গে আর কী রাখা দরকার?
অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সঙ্গে একটি প্লাস্টিকের নল থাকে। এর মুখে দু'টি প্রান্ত থাকে যা রোগীর নাকে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে নাকে হলকা শুকনোভাব থাকে। এছাড়া থাকে মাস্ক, যা মুখে বসিয়ে দিলে সেখান থেকে অক্সিজেন সরবরাহ হয়। তবে এটা পরে থাকলে কথা বলতে, খেতে অসুবিধা হয়। অনেকে আবার ট্রান্সক্রেশনাল ক্যাথিটারের সাহায্য নেন, এই পদ্ধতিতে গলার মধ্যে নল প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয় যাতে সরাসরি শ্বাসনালীতে অক্সিজেন যায়। তবে এক্ষেত্রে গলায় সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়।