কেমন হবে ২০২১ সালের গ্রীষ্ম?
দেশের উত্তর, দক্ষিণের কিছু অংশ, উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বের কিছু অংশে মূলত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যাবে। তবে অপেক্ষাকৃত কম গরম অনুভূত হবে হিমালয়ের পাদদেশের রাজ্যগুলি, উত্তর-পূর্বের কিছু অংশ ও দক্ষিণের কিছু রাজ্যে। ফেব্রুয়ারির বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম বিভাগ। এক্ষেত্রে বিগত ২০০৩-২০১৮ সালের বার্ষিক আবহওয়া রিপোর্টেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
advertisement
এই বছর দেশের কোন অংশগুলিতে সব চেয়ে বেশি গরম পড়তে পারে?
এক্ষেত্রে পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে অতিরিক্তি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যাবে। যা সাধারণ তাপমাত্রার থেকে কয়েকগুণ বেশি। নরম্যাল LPA তথা লং পিরিয়ড অ্যাভারেজের (Long Period Average) তুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০.৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর পাশাপাশি ওড়িশা, ছত্তিসগড় ও কোঙ্কনেও ভয়াল রূপ নিতে পারে গ্রীষ্ম। এক্ষেত্রে ০.২৫-০.৮৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠা নামা করতে পারে দৈনিক তাপমাত্রা। বিশেষ করে দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্যে রাত দিনের থেকেও বেশি উষ্ণ হবে। এর জন্য বাতাসে জলীয় বাষ্প ও আর্দ্রতাকে দায়ী করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে দিন ও রাত দু'টিই অত্যন্ত গরম হবে। একই পরিস্থিতি দেখা যাবে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম-সহ একাধিক রাজ্যে।
গরম বাতাস তথা লু বইবে কি?
এর আগেও এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন মানুষজন। এক্ষেত্রে এলাকা বিশেষে স্বাভাবিকের থেকে ৪-৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। তবে কতবার বা ঠিক কোন কোন এলাকা দিয়ে লু বইবে, তা বলা মুশকিল। অতীতের কিছু রেকর্ড অনুযায়ী প্রতি গ্রীষ্মে একটি কোর হিটওয়েভ জোন (Core Heatwave Zone) চিহ্নিত করা হয়। সেই অনুযায়ী, রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ, পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি অংশ ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় লু বইতে পারে।
এই সময়ে কী ভূমিকা নিতে পারে La Nina?
দেশে গ্রীষ্ম আবহাওয়ার জন্য প্রশান্ত মহাসাগরের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে La Nina ও El Nino-এর প্রসঙ্গ তুলে আনছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে আগামী কয়েক মাসই যাবতীয় উত্তর দেবে!