প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্সেস মেগানের সন্তানের সপ্তম বংশোধর হিসেবে ইংল্যান্ড রাজপরিবারের যুবরাজ হওয়ার লড়াইয়ে থাকার থাকার কথা। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতায় তাঁর থেকে তাঁর দাদা প্রিন্স উইলিয়াম (Prince William), প্রিন্স জর্জ (Prince George), প্রিন্স লুইয়ের (Prince Luis) সন্তানরা এগিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হ্যারি নিজে। অন্য দিকে মেগানের বক্তব্য যে তাঁরা চান না যে তাঁদের সন্তান ইংল্যান্ড রাজপরিবারের যুবরাজ মনোনিত হোক।
advertisement
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) গ্রেট-গ্র্যান্ডচিলড্রেন (great-grandchildren) মোট ৯ জন। তার মধ্যে অন্যতম আর্চি মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসোর (Archie Mountbatten-Windsor) প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্সেস মেগানের পুত্র। যে আবার ব্রিটেন রাজপরিবারের যুবরাজ হওয়ার দৌড়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রিন্স উইলিয়ামসের পুত্রেরা এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এই ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আর্চি মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসোরের মা প্রিন্সের মেগান। তাঁর বক্তব্য, ব্রিটেন রাজপরিবারের উপাধি ছাড়া যথার্থ নিরাপত্তাও পাবে না আর্চি। আবার রাজপরিবারের সদস্য হলেই যে জাতীয় সুরক্ষা পাওয়া যায়, এমনটাও কিন্তু নয়। গত বছর ব্য়ক্তিগত কারণে ইংল্যান্ড থেকে উত্তর আমেরিকায় ঘাঁটি গেড়েছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান। সেখানে তাঁদের খাতিরদারি অন্য রকম হলেও ব্রিটেন রাজপরিবারের থেকে যে তাঁরা বিচ্ছিন্ন, তা সরাসরি জানিয়েছেন মেগান। একই ভাবে ইংল্যান্ড রাজপরিবারের যে যে সদস্য কর্মসূত্রে অন্যান্য দেশে ঘাঁটি গেড়েছেন,তাঁদের ক্ষেত্রেও নিয়মে পরিবর্তন নেই বলে জানানো হয়েছে।
প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্সেস মেগানের সাক্ষাৎকারের প্রেক্ষিতে বাকিংহাম প্যালেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়নি। রাজপরিবারের গোপন বিষয়গুলি প্রকাশ্যে আনা হবে না বলে এক সূত্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি যে গোটা বিশ্ব জানতে চায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না!