কী ভাবে তৈরি হয় এই কনটেন্ট?
সব সময়ে পেশাদার ভিডিও ক্যামেরাও ব্যবহার করা হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ঘটনা শ্যুট করা হয়ে থাকে। সংলাপও তেমন কিছু থাকে না। পুলিশ জানিয়েছে যে একটি চক্রকে হাতেনাতে ধরার পরে তারা কেবল দুই পাতার একটি স্ক্রিপ্ট পেয়েছিল ঘটনাস্থল থেকে।
কোথায় শ্যুটিং করা হয় এই কনটেন্ট?
advertisement
সাধারণত মুম্বই শহরতলিতে কোনও বাংলো ভাড়া করে এই ধরনের সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক পর্নোগ্রাফি অ্যাপের কনটেন্টের শ্যুটিং চলে। পুলিশ জানিয়েছে যে মুম্বই শহরতলিতে এই রকম একটা বাংলো ভাড়া করতে দিন পিছু বড় জোর ১০ হাজার টাকা লাগে। তাছাড়া নিরিবিলিতে শ্যুটিংয়ের সুবিধাও পাওয়া যায় শহরতলি বলে।
কী রকম উপার্জন করে এ হেন সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক পর্নোগ্রাফি অ্যাপ?
উপার্জনের অঙ্কটা বেশ ভালো বলে দাবি করেছে মুম্বই পুলিশ। জানিয়েছে যে সাধারণত এই সব সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক পর্নোগ্রাফি অ্যাপ ইউজারদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১৯৯ টাকা করে নিয়ে থাকে। এদের ইউজার সংখ্যাও হয় লক্ষাধিক। ফলে, খুব কম করে হলেও এমন একটি অ্যাপ প্রতি মাসে ২ কোটি টাকার কাছাকাছি উপার্জন করে বলে জানা গিয়েছে।
কেন মুম্বইতে বিশেষ করে এই সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক পর্নোগ্রাফি অ্যাপের চাহিদা বাড়ছে?
পুলিশ জানিয়েছে যে মুম্বইতে খুব সহজেই এই ধরনের সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক পর্নোগ্রাফি অ্যাপের কনটেন্ট শ্যুট করার অভিনেতা, অভিনেত্রী পাওয়া যায়। এদের ভাগ করা যায় দুই দলে। যাঁরা আগে বলিউডে ছোটখাটো কাজ করেছেন কিন্তু বর্তমানে কাজ পান না, তাঁদের অনেকেই এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন বলে পুলিশ দাবি করেছে। এছাড়া রয়েছেন বলিউডে কাজ করতে আসা স্ট্রাগলাররা, যাঁদের ছবিতে কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে পর্নোগ্রাফি শ্যুট করিয়ে নেওয়া হয়।
এই ধরনের সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক পর্নোগ্রাফি অ্যাপের খোঁজ কী ভাবে পান ইউজাররা?
মুম্বই পুলিশের বক্তব্য- Facebook, Instagram, Telegram, WhatsApp-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া আর মেসেজিং অ্যাপ থেকেই ইউজাররা সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক পর্নোগ্রাফি অ্যাপের খোঁজ পেয়ে থাকেন। এই নিয়ে বিশদে তদন্তও করছে মুম্বই পুলিশের সাইবার ব্রাঞ্চ।