এক সরকারি অফিসার জানিয়েছেন, যাত্রী পরিষেবার উন্নয়নের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। এর ফলে আঞ্চলিক রেলপথগুলিতে আলাদা ভাবে উন্নয়ন করা যাবে। রেলের কোচ ও ইঞ্জিন তৈরির শিল্পের মান বাড়বে। প্রাইভেট ট্রেন অপারেটরদের ট্যাক্স ছাড়ের একটা বিষয় থাকবে। এছাড়াও রেলের কোচ ও ইঞ্জিন তৈরির ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া হতে পারে।
advertisement
বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বেসরকারি ট্রেন পরিষেবা আকর্ষণীয় করবার জন্য কম খরচে রেল রুট সম্প্রসারিত করতে হবে। এক্ষেত্রে দেখে নিতে হবে বিমান পরিষেবার বিকল্প পথ তৈরি হচ্ছে কি না। এর ফলে বিমানযাত্রীদের একাংশের মনোযোগ কাড়তে পারবে রেল। তবে এখনও কিছু সংশয় দেখা যাচ্ছে। বেসরকারি সংস্থারা তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তার একটা বড় কারণ হতে পারে করোনা সংক্রমণ। কারণ বেশিভাগ সংস্থার আর্থিক হাল তলানিতে রয়েছে।
ভারতীয় রেল ২০২০ সালে কিছু যাত্রীবাহী ট্রেনের বেসরকারিকরণের প্রস্তাব রাখে। সেই সময় ১৫টি সংস্থা বিডে অংশগ্রহণ করবার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এর পরই করোনা সংক্রমণের কারণে সেই সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও বেসরকরি সংস্থারা বিডের শর্তের মূল্যায়ণ করবার জন্য কিছুটা সময় চেয়ে নেয়, সরকারি সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। বেসরকরি সংস্থাদের রেলের টেন্ডারে বেশি আগ্রহ না দেখানোর কিছু কারণ রয়েছে। যেমন, শুল্ক প্রতিযোগিতা, কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকা, পরিবহণ শুল্ক ও রুটের নমনীয়তায় নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও বিডিং প্রক্রিয়ায় রিকোয়েস্ট ফর কোয়ালিফিকেশন এবং রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজালের মতো কিছু নিয়ম মানতে বলা হয়েছে। যা নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে না বেসরকারি সংস্থারা।