বন্দে ভারত প্রকল্পের ট্রেনগুলিকে একেবারে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি করা হবে। এর গতিবেগ থাকবে ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে এর পুরো ডিজাইনটি হবে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার। যাত্রীর সময়ের কথা মাথায় রেখেই পুরো কাজ সম্পন্ন করা হবে। ট্রেনগুলিতে থাকবে ইউরোপীয় ধাঁচের সিট, এক্সিকিউটিভ ক্লাসে থাকবে রোটেটিং সিট, থাকবে ডিফিউসড LED লাইটিং, নিজস্ব রিডিং লাইট, অটোমেটিক এন্ট্রি ও এক্সিট দরজা, ট্রেনের ভেতরে ধুলো মুক্ত করার ব্যবস্থা থাকবে, মডিউলার বায়ো-ভ্যাকুউম টয়লেট, এছাড়াও থাকবে মিনি প্যান্ট্রি ও আরও অনেক সুবিধা। এই বছরের প্রথমের দিকে ৪৪টি বন্দে ভারত মডেলের ট্রেনের রেক তৈরির টেন্ডার দেওয়া হয়েছে মেধা সার্ভো (Medha Servo) নামে ভারতীয় সংস্থাকে। ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে সেগুলি তৈরি করার লক্ষ্য়মাত্রা রাখা হয়েছে।
advertisement
এখন দুটি বন্দে ভারত ট্রেন চলছে। দিল্লি-বারাণসী-দিল্লি ও দিল্লি-কাটরা-দিল্লি এই ট্রেন দুটি চালানো হচ্ছে। দুটি রুটেই ট্রেনগুলি জনপ্রিয় হয়েছে ও চাহিদাও বেড়েছে। রেল বিশেষজ্ঞদের মতে বন্দে ভারত ট্রেনের রুট ও ভাড়ার বিষয়টি বিমান যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ যাত্রীদের কথাও মাথায় রাখতে হবে বলেই তাঁরা মনে করেন। ভাড়াও কম রাখার কথা তাঁরা বলেছেন।
ফিডব্যাক ইনফ্রা গ্রুপের (Feedback Infra Group) নন-এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান (Non-Executive Chairman) বিনায়ক চট্টোপাধ্যায় (Vinayak Chatterjee) বলেছেন, বিমান পরিষেবাকে টক্কর দিতে পারবে এমন বন্দোবস্ত রেলকে করতে হবে। যাঁরা বিমানে ৬ ঘণ্টার থেকে বেশি সময় ধরে যাত্রা করেন তাঁদের কাথা মাথায় রাখতে হবে। বিমানে সফর করাটা অনেক ক্ষেত্রেই সুখের নয়, তাই তাঁরা যদি কম খরচে ট্রেন যাত্রায় আরও ১-২ ঘণ্টা বেশিও সফর করেন তাতেও তাঁদের অসুবিধা হবে না। যদি বড় শহরগুলিকে কম খরচের রুটের মধ্যে বেঁধে দেওয়া যায়,তাহলে ভারতীয় রেল পরিবহণে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে পারে।