যত দূর জানা গিয়েছে, কাপ্পা ভ্যারিয়েন্ট করোনার ডবল মিউট্যান্ট। এটি B.1.617.1 এই নামে পরিচিত। এর মিউটেশনের দু'টি বৈজ্ঞানিক নাম হল E484Q এবং L453R। অনেকেই ভেবেছেন করোনার ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে এটি একেবারে নতুন, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে এটা করোনার নতুন কোনও ভ্যারিয়ান্ট নয়। ২০২০ সালে অক্টোবরে ভারতে এই ভ্যারিয়ান্টটি প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল। কাপ্পা ছাড়াও ডেল্টা ভারতেই প্রথম পাওয়া গিয়েছে। WHO-এর মতে কাপ্পাও করোনার একটি ভ্যারিয়ান্ট, যার তীব্রতা অন্যান্য করোনার ভ্যারিয়ান্টগুলোর মতোই এবং একই ভাবে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এই ভ্যারিয়ান্ট। উত্তরপ্রদেশ স্বাস্থ্য দফতরের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি অমিত মোহন প্রসাদ (Amit Mohan Prasad) জানিয়েছেন করোনার এই রূপ নিয়ে বেশি উদ্বেগের কিছু নেই। এটিও করোনার অন্য স্ট্রেনগুলির মতো চিকিৎসা যোগ্য।
advertisement
অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে কাপ্পা ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে বর্তমান করোনা টিকাগুলি কতটা কার্যকরী? ইন্ডিয়ার কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) জানিয়েছে ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি Covaxin কাপ্পা ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে কার্যকর। এছাড়াও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Oxford University) কিছু দিন আগেই বলেছিল Covishield কাপ্পা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। ভারতে এখনও পর্যন্ত যত মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের বেশিরভাগকেই Covishield ও Covaxin দেওয়া হয়েছে।
গবেষকদের দাবি, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের মতো কাপ্পাও যেহেতু ডবল মিউট্যান্ট, তাই এই স্ট্রেন দ্রুত পরিবর্তন করতে পারে নিজেকে। অনুমান করা হয়েছে, ভ্যাকসিনের একটি ডোজ এই ভ্যারিয়ান্টকে থামাতে ব্যর্থ হতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে পারলে কাপ্পাকে আটকানো যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা!