ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্ট ভারত ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পোর্তুগাল, সুইৎজারল্যান্ড, জাপান, পোল্যান্ড, নেপাল, চিন এবং রাশিয়ায় সনাক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্টকে ভ্যারিয়ান্ট অফ কনসার্ন ('variant of concern) বলে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞের মতে এই ভ্যারিয়ান্টটি অত্যন্ত সংক্রামক। তাই দেশের সব রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার গতি বাড়ানোর পাশাপাশি টিকা নিতে বলা হয়েছে।
advertisement
একটি গবেষণা বলছে, করোনার প্রথম ভ্যারিয়ান্ট ছিল আলফা, এর পর এসেছে ডেল্টা, একেবারে নতুন সংযোজন ডেল্টা প্লাস। গবেষকদের মতে করোনার আগের সবকটি ভ্যারিয়ান্টকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে করোনা টিকাগুলি। কারণ, এগুলির কথা মাথায় রেখেই ভ্যাকসিনগুলিকে তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি গবেষকরা।
ভারতে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গিয়েছিল রাজস্থানের বাসিন্দা এক ৬৫ বছরের মহিলার দেহে। যিনি করোনা টিকা নিয়েছিলেন। বিকানের-এর হেলথ অফিসার ড. ও.পি. চাহার বলেন ওই মহিলা মে মাসের আগেই করোনা ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ পেয়েছিলেন। জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য তাঁর নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে (National Institute of Virology) পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্টেই ধরা পড়ে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্ট। তবে ওই মহিলা বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
তাই গবেষকরা বলছেন, ডেল্টা প্লাস যতই সংক্রামক হোক না কেন, সামাজিক দূরত্ব, ডাবল মাস্কিং, নিয়মিত হাত ধোওয়া এবং স্যানিটাইজেশনের মতো স্বাস্থ্যকর অভ্যাস সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে পারে। সময় থাকতে টিকা নিতে পারলে করোনা অতিমারীকে অনায়াসে দমন করা সম্ভব হবে।