TRENDING:

ন্যায়বিচারের অধিকার সবার, জামিন কী এবং কত রকমের জেনে রাখুন বিশদে

Last Updated:

জামিন কী এবং কত রকমের হয়, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রাচী মিশ্র (Prachi Mishra)

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: প্রশাসনের যেমন অধিকার আছে কাউকে গ্রেফতার করার, তেমনই সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরও রয়েছে জামিন পাওয়ার অধিকার। এক্ষেত্রে মামলা চলাকালীন কারাবাস থেকে বিরতি নেওয়া যায় আবেদন সাপেক্ষে। অনেক সময় আবার গ্রেফতার হওয়া এড়াতেও নেওয়া যায় জামিন। জামিন কী এবং কত রকমের হয়, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রাচী মিশ্র (Prachi Mishra)।
advertisement

জামিন কী এবং কত রকমের হয়?

কোনও ক্রিমিনাল কেসে মামলা চলার সময়ে কারাবাসের যে ছাড় পাওয়া যায়, তাকেই বলা হয় জামিন বা বেইল। এটি তিন রকমের হয়ে থাকে- রেগুলার বা সাধারণ (Regular), ইন্টারিম বা অন্তর্বর্তীকালীন (Interim) এবং অ্যান্টিসিপেটরি বা আগাম (Anticipatory)।

অন্তর্বর্তীকালীন জামিন কী?

অন্তর্বর্তীকালীন জামিন হল স্বল্প মেয়াদে কারাবাসে ছাড়। সাধারণ জামিন এবং আগাম জামিনের শুনানির আগে এই ধরনের জামিন মঞ্জুর করা হয়ে থাকে।

advertisement

আগাম জামিন কী?

কারও যদি জামিন-অযোগ্য মামলায় গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি দায়রা আদালতে তা অমূলক বলে উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে আবেদন করেন, তাহলে তাঁকে সংবিধানের ৪৩৮ ধারা অনুযায়ী আগাম জামিন দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে তাঁকে আর গ্রেফতার হতে হয় না।

আগাম জামিন কি বাতিল হয়ে যেতে পারে?

আগাম জামিনের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত থাকে, তা উল্লঙ্ঘণ করা হলে জামিনও বাতিল করে দেওয়া হয়। কখনও আবার প্রসিকিউশনের দরখাস্তের ভিত্তিতে দরকারি মনে হলে বিচারক আগাম জামিনের অনুরোধ বাতিল করে দিতে পারেন।

advertisement

আগাম জামিন মঞ্জুর হলে কি সাধারণ জামিন নেওয়ার দরকার পড়ে?

মামলা যত দিন চলবে, আগাম জামিনও তত দিন পর্যন্ত বৈধ থাকে। তবে বিচারক তা নাকচ করে দিলে সাধারণ জামিনের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে বিচারকের সম্মতি সাপেক্ষে আগাম জামিনকে সাধারণ জামিনে বদলে দেওয়া হয়।

সর্বোচ্চ কত দিন পর্যন্ত কারাবাসে থাকতেই হয়?

ট্রাইব্যুনাল আইনের ৪৩৬এ ধারা অনুসারে রায়ে উল্লিখিত মেয়াদের অর্ধেক যদি কেউ কাটিয়ে থাকেন, তবে পরিস্থিতি সাপেক্ষে তার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া যায়।

advertisement

জামিন-অযোগ্য অপরাধে গ্রেফতার করা হলেও কি জামিন পাওয়া যায়?

জামিন সাংবিধানিক অধিকার যা দায়রা আদালত বা উচ্চ আদালত কর্তৃক মঞ্জুর হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রেও জামিন পাওয়া যায় যদি আদালত তাতে সম্মতি জানায়।

জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রেও কি আলাদা করে আবেদন জানাতে হয়?

হ্যাঁ, এক্ষেত্রে যদিও আদালতে যাওয়ার দরকার পড়ে না, থানা থেকেই সাধারণ জামিন মঞ্জুর করা হয়।

advertisement

আদালত কোন কোন ক্ষেত্রে জামিন নাকচ করে দিতে পারে?

যদি অপরাধের সাস্তি মৃত্যদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাবাসের সঙ্গে জড়িত হয়, তাহলে অপরাধীকে জামিন দেওয়া হয় না। এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে যদি ইতিপূর্বে নাম জড়িয়ে থাকে, তাহলেও জামিন পাওয়া যায় না।

জামিন বাতিল করা ব্যাপারটা আদতে কী?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

ট্রাইব্যুনাল আইনের ৪৩৭(৫) এবং ৪৩৯(২) ধারা অনুসারে বিচারক কারও জামিনের আবেদন বাতিল করে দিয়ে পুলিশকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিতে পারেন, একেই বলা হয় জামিন বাতিল করা। এক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কারাবাসে যেতেই হয়।

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
ন্যায়বিচারের অধিকার সবার, জামিন কী এবং কত রকমের জেনে রাখুন বিশদে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল