TRENDING:

Asteroid Day: গ্রহাণু কি আবার আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে? কী বলছে NASA!

Last Updated:

ঠিক যেমন ২০১৩ সালে চেলিয়াবিনস্কে (Chelyabinsk) ঘটেছিল। রাশিয়ার আকাশে সে দিন একটি গ্রহাণু ঢুকেছিল। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতেই ধংস হয়ে যায় গ্রহাণুটি। বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছু মানুষ আহত হয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#Asteroid Day: আজ ৩০ জুন, গ্রহাণু দিবস (Asteroid Day)। গ্রহাণু সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও গ্রহাণুর আঘাত সম্পর্কে গবেষণার জন্য জাতিসঙ্ঘ এই দিনটিকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। গ্রহাণু বা অ্যাস্টেরয়েড (Asteroid) মূলত পাথরখণ্ড যারা গ্রহের মতো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। সৌরজগতের বেশিরভাগ গ্রহাণুই মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী অঞ্চলে পাওয়া যায়। গ্রহের মতো হলেও এদের বৈশিষ্ট্য একটু আলাদা। অনেক সময় এরা পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, গ্রহাণুর আঘাত হানার কারণেই পৃথিবী থেকে ডাইনোসর (Dinosaur) বিলুপ্ত হয়ে যায়। যা প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রে ভীষণ প্রভাব ফেলেছিল।
advertisement

ইউরোপের স্পেস এজেন্সি (European Space Agency) অনুসারে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্রহাণু প্রবেশ করে ধংসলীলা চালাতে পারে। ঠিক যেমন ২০১৩ সালে চেলিয়াবিনস্কে (Chelyabinsk) ঘটেছিল। রাশিয়ার আকাশে সে দিন একটি গ্রহাণু ঢুকেছিল। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতেই ধংস হয়ে যায় গ্রহাণুটি। বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছু মানুষ আহত হয়। বাড়ির কাচ ভেঙ্গে যায়। বিজ্ঞানীরা যা অনুমান করেন, অনেকটা কাছাকাছি বিপর্যয় সে দিন ঘটে।

advertisement

তাই বার বার এই প্রশ্নই উঠে আসে, যে গ্রহাণুরা আবারও পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে কি না? NASA-র মতে এই ঘটনা আবারও ঘটতে পারে, তবে গুরুতর কিছু না ঘটার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, পৃথিবী আকারে এদের থেকে অনেক বড়। সৌরজগতের বেশিরভাগ গ্রহাণু তাদের নির্দিষ্ট একটি কক্ষপথে ঘোরে। সেই কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এছাড়াও আমেরিকান এই স্পেস এজেন্সি সব সময় গ্রহাণুদের কক্ষপথ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যদি কোনও গ্রহাণু আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুঁজে পান, তাহলে তাঁরা আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে পারেন। গ্রহাণুর কক্ষপথ বিচার করে, সেটাকে অন্য কক্ষপথে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা বিজ্ঞানীরা করতে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজো বাজারে এবার নতুন চাপ! ফুল কিনতে গিয়ে নাকানিচোবানি না খেতে হয়
আরও দেখুন

বিজ্ঞানীরা কী ভাবে এই কাজ করতে পারেন, তার উদাহরণ সম্প্রতি পাওয়া গিয়েছে। ৯৯৯৪২ অ্যাপোফিজ (99942 Apophis) গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পরার সম্ভাবনার খবর আবিষ্কার হতেই, বিজ্ঞানীরা নিজেদের কাজ শুরু করেন। চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যাপোফিজকে ট্র্যাক করা হয়। সুনির্দিষ্ট কক্ষপথ বিশ্লেষণের পর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান যে আগামী এক শতাব্দীতে অ্যাপোফিজ পৃথিবীতে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Asteroid Day: গ্রহাণু কি আবার আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে? কী বলছে NASA!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল