ইউরোপের স্পেস এজেন্সি (European Space Agency) অনুসারে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্রহাণু প্রবেশ করে ধংসলীলা চালাতে পারে। ঠিক যেমন ২০১৩ সালে চেলিয়াবিনস্কে (Chelyabinsk) ঘটেছিল। রাশিয়ার আকাশে সে দিন একটি গ্রহাণু ঢুকেছিল। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতেই ধংস হয়ে যায় গ্রহাণুটি। বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছু মানুষ আহত হয়। বাড়ির কাচ ভেঙ্গে যায়। বিজ্ঞানীরা যা অনুমান করেন, অনেকটা কাছাকাছি বিপর্যয় সে দিন ঘটে।
advertisement
তাই বার বার এই প্রশ্নই উঠে আসে, যে গ্রহাণুরা আবারও পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে কি না? NASA-র মতে এই ঘটনা আবারও ঘটতে পারে, তবে গুরুতর কিছু না ঘটার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, পৃথিবী আকারে এদের থেকে অনেক বড়। সৌরজগতের বেশিরভাগ গ্রহাণু তাদের নির্দিষ্ট একটি কক্ষপথে ঘোরে। সেই কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এছাড়াও আমেরিকান এই স্পেস এজেন্সি সব সময় গ্রহাণুদের কক্ষপথ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যদি কোনও গ্রহাণু আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুঁজে পান, তাহলে তাঁরা আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে পারেন। গ্রহাণুর কক্ষপথ বিচার করে, সেটাকে অন্য কক্ষপথে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা বিজ্ঞানীরা করতে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা কী ভাবে এই কাজ করতে পারেন, তার উদাহরণ সম্প্রতি পাওয়া গিয়েছে। ৯৯৯৪২ অ্যাপোফিজ (99942 Apophis) গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পরার সম্ভাবনার খবর আবিষ্কার হতেই, বিজ্ঞানীরা নিজেদের কাজ শুরু করেন। চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যাপোফিজকে ট্র্যাক করা হয়। সুনির্দিষ্ট কক্ষপথ বিশ্লেষণের পর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান যে আগামী এক শতাব্দীতে অ্যাপোফিজ পৃথিবীতে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না।