কেন, সেই কথাটাও বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। যখন করোনার ভ্যাকসিন আমাদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়, তখন তা শরীরে গিয়ে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সক্ষম প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এই দিক দিয়ে Pfizer বা Modena-র জনসনের ভ্যাকসিন অনেক বেশি সুবিধা দিতে পারে। কারণ, Pfizer বা Modena-র ভ্যাকসিন সিঙ্গল স্ট্র্যান্ডেড RNA-এর উপরে কাজ করে। কিন্তু জনসনের ভ্যাকসিন কাজ করে ডবল স্ট্র্যান্ডেড DNA-এর উপরে। পাশাপাশি, এতে আছে অ্যাডিনোভাইরাসের মজবুত প্রোটিন কোড, যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে DNA-কে সুরক্ষিত রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে RNA-এর তুলনায় DNA ততটা ভঙ্গুর নয়, পাশাপাশি এই অ্যাডিনোভাইরাসের উপস্থিতি অতিরিক্ত সুরক্ষা দেবে। যে কারণে Pfizer বা Modena-র ভ্যাকসিনের অন্তত দু'টি শট নিতেই হবে, কিন্তু জনসনের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে মাত্র একটি শট-ই যথেষ্ট! আবার যদি সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, দেখা যাচ্ছে যে সেই দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে JNJ-78436735 বা Ad26.COV2.S। মাত্র ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেই প্রায় তিন মাস পর্যন্ত এটি সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।
advertisement
এ তো ছিল কার্যকারিতা এবং সংরক্ষণের দিক! কিন্তু জোগানের দিক থেকে কতটা সুবিধা দিতে পারছে ইউনাইটেড স্টেটসে এই ভ্যাকসিন?
জানা গিয়েছে যে সেই দিক থেকেও আশার আলো জাগিয়েছে জনসনের ভ্যাকসিন। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে যে আপাতত মার্কিন মুলুকে ২৮.৫৫ মিলিয়ন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নথিবদ্ধ হয়েছে। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫১২,০০০। এ হেন সঙ্কটকালে একেবারে ঠিক সময়ে হাতে আসতে চলেছে জনসনের ভ্যাকসিন। জানা গিয়েছে যে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে খুব কম করে হলেও অন্তত ১০০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করতে পারবে জনসন। অন্য দিকে, জুলাই মাসের মধ্যে Pfizer আর Modena-র সম্মিলিত ৬০০ মিলিয়ন ডোজ পৌঁছে যাবে। তাই যাঁরা মাত্র একবার ভ্যাকসিন নিতে চান, তাঁদের জন্য তো বটেই, পাশাপাশি আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলাতেও সক্ষম হবে জনসনের ভ্যাকসিন।