“আমার মনে হয় বিতর্কটা আসলে প্রিভিলেজ, অ্যাকসেস আর সোশ্যাল ক্যাপিটাল নিয়ে”, শুরু থেকেই বিস্ফোরক জোয়া। “আমি ভালভাবেই বুঝি যে একজন হাজার চেষ্টা করেও যা পাচ্ছে না, তা অন্যজন অনায়াসে পেলে কতটা ক্রোধ আর হিংসা জন্ম নেয়। তো, কথা এই প্রসঙ্গেই হোক। সবার জন্য সমান শিক্ষা, সমান চাকরির সুযোগ ইত্যাদি আর কী। কিন্তু কেউ যদি বলেন যে সুহানার আমার ছবিতে থাকা উচিত নয়, এটা মেনে নেব না, কেন না, সুহানা অভিনয়জগতে এল কী না এল, সেটা যিনি বলছেন, তাঁর জীবন বদলে দেবে না। কাজেই, নিজের জীবন কীভাবে বদলানো যায়, সেটা নিয়েই ভাবা উচিত, তাই না?”
advertisement
অনেকেই বলবেন, জোয়া নিজেও স্টারকিড বলে তিনি এরকম মন্তব্যই করবেন। দেখা যাচ্ছে, সেই প্রসঙ্গেও সরব তিনি। “আমার বাবা যা করেছেন, সব নিজের চেষ্টায়। কিন্তু আমি তো এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই জন্মেছি, বড় হয়েছি। তিনি যা অর্জন করেছেন, তাঁর যা প্রভাব, সেই সব কিছু আমিও পেয়েছি। এবার আমি যদি ছবি বানাতে চাই, কী করব? বাবাকে অসম্মান করব, অগ্রাহ্য করব? আমি আমার জীবিকাও বেছে নিতে পারব না? কোনও মানে হয়! সমস্যা আদতে অন্য, সেটা নিয়ে কেউ কথা বলছে না। যদি স্টার কিডদের কেউই অভিনয়জগতে আসত না, তাহলেও এই বিতর্ক ডেকে আনা লোকগুলোর জীবন একই রকম থাকত, সেটা বোঝাও তো দরকার”, সপাট উত্তর জোয়ার এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে।
আরও পড়ুন : পরকীয়ায় কেন মজে মন? বিয়ের বাইরে প্রেম মানেই কি দাম্পত্যে ভাঙন? নাকি এতেই মঙ্গল? জানুন
পরের ধাপে জোয়া যুক্তি শানিয়েছেন নেপোটিজম শব্দটা ঘিরে। “নেপোটিজম তখনই হয়, যদি আমি কারও টাকা নিয়ে তাদের ছেলে-মেয়েদের কাজ দিই। কিন্তু আমি যা করছি নিজের টাকায়। এটা নেপোটিজম হতে পারে না। আমি আমার টাকা নিয়ে কী করব, সেটা লোকে বলার কে! আমার যদি কাল নিজের ভাইঝির পিছনে পয়সা খরচ করতে ইচ্ছা হয়, সেটা আমার ব্যাপার। দর্শক এসব নিয়ে কথা বলতে পারে না। ছবি দেখবে কী দেখবে না, এটুকুই শুধু তাদের অধিকার”, বক্তব্য জোয়ার।