নিজেকে সোহিনীর ননদ পরিচয় দিয়ে জানিয়েছেন চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে অকালে চলে গিয়েছে সোহিনী ও তাঁর ভাইয়ের সদ্যোজাত পুত্র। শুরু হয় চিকিৎসকে উপর দোষারোপ করা, ও এই মৃত্যুর জন্য তাঁকেই দায়ি করা। সেই নিয়েই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন সোহিনীর চিকিৎসকের শিবেন্দ্রনাথ দাস বা এসএন দাস। উঠে আসে সোহিনীর শারীরিক সমস্যার দিক। জানা গেছে, ‘কনসিলড অ্যাক্সিডেন্টাল হেমারেজে’ মৃত্যু হয়েছে তাঁর সন্তানের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ইনফ্লুয়েন্সার সোহিনীর পুত্রশোক, অভিযোগের তির ডাক্তারের দিকে! অবশেষে বাখ্যা দিলেন চিকিৎসক
কী এই ‘কনসিলড অ্যাক্সিডেন্টাল হেমারেজে’?
আনন্দপুর ফর্টিস হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুজাতা মুখোপাধ্যায় জানান, ‘প্রেগনেন্সির ২৮ সপ্তাহের পর এবং ডেলিভারির আগে জরায়ুর থেকে রক্তক্ষরণ হলে তাঁকে অ্যান্টি-পার্টাম হেমারেজ বলে। এটা অনেক কারণে হতে পারে তার মধ্যে একটা হল অ্যাক্সিডেন্টাল হেমারেজে। এটার চান্স প্রায় ৩৫%। এটা দু’রকম হয় একটা কনসিলড, আরেকটা রিভিলড। কনসিলডের ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ ভিতরে হয় বাইরে থেকে বোঝা যায় না, রিভিলডের ক্ষেত্রে বোঝা যায় বাইরে থেকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কনসিলড অ্যাক্সিডেন্টাল হেমারেজে ১০০ জনে একজনের হয়। এই ঘটনায় মা এবং বাচ্চা দুজনেরই মৃত্যু হতে পারে।’ কী কারণে হয় এই সমস্যা? সুজাতা জানান, ‘৫ বার আগে সন্তান জন্ম দিল, হাইপারটেনশন থাকলে, যাদের বাচ্চার থলিতে জল বেশি থাকলে আগে জল ভেঙে গেলে এরকম হতে পারে। তাছাড়াও যমজ বাচ্চা হলে, স্মোকিং হ্যাবিট থাকলে, ফোলিক অ্যাসিড কম থাকলে, কোকেন আসক্ত হলে, পুরোনো কোনও ট্রমা থাকলে। আগে যদি কারুর সঙ্গে অ্যাক্সিডেন্টাল হেমারেজ হয়ে থাকে তাহলে আবার তা হতে পারে।’
কী কী পদক্ষেপ করা উচিত একজন অন্তঃসত্ত্বার?
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, বিশ্রাম নিতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে, অতিরিক্ত হাঁটাচলা বা ব্যায়াম করা যাবে না, লাফালাফি করা যাবে না, ডায়েট ঠিক করতে হবে, স্মোকিং করলে সেটা বন্ধ করতে হবে।