আরও পড়ুন- যৌনতার মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে মাঙ্কিপক্স! জানুন কী এর লক্ষণ ও চিকিৎসা?
অভিনেত্রী পল্লবী দে-র (Pallavi Dey) রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সাগ্নিকের ২৬ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। আদালতে পল্লবীর আইনজীবী আবেদন, মৃতের পরিবার যখন মরদেহ হাতে পায় তখন দেখেন হাতে,মুখে, গলায় কালশিটের দাগ। গত ১৫ মে ঘটনা ঘটে অথচ পুলিশ সাগ্নিকের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ১৭ মে।
advertisement
সেদিন সকালে কাজে না আসা নিয়ে পল্লবীর সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর পরিচারিকার৷ পরিচারিকা নিজেও জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তিনবার ফোনে কথা হয়৷ কাজে আসতে পারবেন না শুনে রেগে যান পল্লবী৷ বাড়ির একটি অনুষ্ঠানে যায়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন পল্লবী৷ তা হলে কী এমন হল যে নিজেকে শেষ করে দিলেন তিনি?
সাগ্নিক ম্যারাথন পুলিশি জেরায় জানিয়েছিলেন মৃত্যুর দিন সকালে তার সঙ্গে বচসা বাঁধে পল্লবীর। কিন্তু কী নিয়ে বেঁধেছিল সেই অশান্তি? সাগ্নিক চক্রবর্তী জানায়, সেদিন সকালে পল্লবী ফোন করে পরিচারিকাকে আসতে বলেন। কিন্তু তিনি সে আসতে চায়নি। এই নিয়েই গোলমাল শুরু। অভিনেত্রী যে মাঝেমধ্যে পরিচারিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত, তাও পুলিশকে জানিয়েছেন সাগ্নিক। আর সেদিন সেই নিয়েই তিনি প্রতিবাদ করে, তাতেই ক্ষেপে ওঠেন পল্লবী, শুরু হয় বচসা, যা মুহূর্তে চরমে ওঠে। সাগ্নিক ব্যালকনিতে সিগারেট খেতে গেলে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন পল্লবী। সিগারেট খাওয়া শেষ করে ঘরে ঢুকতে গেলে সেই সময় দরজা বন্ধ ছিল। এরপরেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। তবে ক্রমেই জটিল হচ্ছে এই টেলি অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু৷ সাগ্নিকের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন ছিল প্রথম থেকেই৷ এবার আরও জটিল হচ্ছে রহস্য৷
