যদিও নিজেদের সম্পর্ক সব সময় লোকচক্ষুর আড়ালেই রেখেছেন এই জুটি। তবে মাঝেসাঝে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল তাঁদের। আবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও চোখে পড়ত একে অপরের জন্য তাঁদের মিষ্টি পোস্ট। আর এর থেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলেন নেটিজেনরা। চলতি মাসের শুরুতেই ছিল সোনাক্ষীর জন্মদিন। আর তাঁর জন্মদিন স্পেশাল বানাতে দুজনের একটি মিষ্টি ছবি পোস্ট করেছিলেন জাহির। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘হ্যাপি বার্থডে সোনজজজ’। আর এর থেকে আরও একবার তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা স্পষ্ট হয়ে যায়।
advertisement
এদিকে কিছু প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের অতিথি তালিকায় রয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যরা। শুধু তা-ই নয়, উপস্থিত থাকবেন ‘হিরামান্ডি’-র সমস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী। আমন্ত্রণপত্রেও রয়েছে অভিনবত্ব। অনেকটা ম্যাগাজিনের মতো দেখতে সেটি। লেখা রয়েছে, ‘দ্য রিউমার্স আর ট্রু’। অর্থাৎ গুজব হল সত্য। আর এই বিবাহের অনুষ্ঠানের ড্রেস কোড ফর্ম্যাল বলে জানানো হয়েছে।
কিন্তু হিরামান্ডি অভিনেত্রীর প্রেমিকের পরিচয় কী। জাহির ইকবালের জন্ম ১৯৮৮ সালের ১০ ডিসেম্বর। তাঁর পুরো নাম জাহির ইকবাল রতানসি। মুম্বই স্কটিশ স্কুলে পড়াশোনা। সেখানে রণবীর কাপুরের জুনিয়র ছিলেন তিনি। জহুরি পরিবারের ছেলে এই জাহির। তাঁর বাবা ইকবাল রতানসি একজন জহুরি এবং ব্যবসায়ী। বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের আবার ঘনিষ্ঠ জাহিরের পরিবার। জাহিরের মা একজন গৃহবধূ আর জাহিরের একজন ভাইও রয়েছে। যিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।
২০১৯ সালে রোম্যান্টিক ধারার ছবি নোটবুক-এর হাত ধরে বলিউডে পদার্পণ করেছিলেন জাহির ইকবাল। নোটবুক প্রযোজনা করেছিলেন সলমন খান। ছবিতে জাহিরের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল প্রনূতন বহেলকে। ফিল্মি কেরিয়ারে একাধিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অভিনেতা।মজার বিষয় হল, সোনাক্ষী-জাহিরের সম্পর্কে যেন অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিলেন সলমন খান। আসলে তিনিই দু’জনের পরিচয় করিয়েছিলেন। এরপর সোনাক্ষী আর জাহিরের সেই বন্ধুত্বই গড়ায় প্রেমের দিকে। একে অপরের সঙ্গে হামেশাই দেখা যেতে থাকে তাঁদের। এরপর সতরাম রামানি পরিচালিত ‘ডাবল এক্সএল’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল এই জুটিকে। এর আগেও অবশ্য সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন জাহির ইকবাল। জানা গিয়েছে, অল্প সময়ের জন্য দীক্ষা শেঠ এবং সানা সইদের সঙ্গে জাহিরের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যদিও সেই সম্পর্ক অল্প সময়ের মধ্যেই ভেঙে গিয়েছিল।