তখন ছবির কথা হলেই পর্দার বাইরেও ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাব আসত সহ-অভিনেতাদের কাছ থেকে। আর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে তাঁকে ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হত। এইভাবে বহু ছবি হাতছাড়া হয়েছে মল্লিকার। ২০১৮ সালের এক পুরনো সাক্ষাৎকার থেকে উঠে এল মল্লিকার এই বিস্ফোরক মন্তব্য।
মল্লিকা সাক্ষাৎকারে জানান যে তিনি নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করেন। তবে তিনি মাথা-গরম ধরনের মানুষ। সহজে কারও সঙ্গে আপোষ করেন না। প্রতি পদে নিজেকে প্রমাণ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। স্পষ্ট কথার মানুষ মল্লিকা বলেন যে মেয়েরা যদি ছোট স্কার্ট পরে বা পর্দায় খোলামেলা দৃশ্য করে তাহলে ধরেই নেওয়া হয় যে সে আসলে খারাপ মেয়ে। মল্লিকার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। মল্লিকার মার্ডার ছবিটি যখন মুক্তি পায় তখনও বোধ হয় ভারতীয় দর্শক এতটা সাবালক হননি, যতটা এখন হয়েছেন। পর্দায় খোলামেলা দৃশ্য বা অর্ধনগ্ন নায়িকাকে দেখতে খুব একটা অভ্যস্ত ছিলেন না দর্শক। সেগুলো দেখানো হলেও সেই ছবিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর বলে দাগিয়ে দেওয়া হত। এখন সময় পাল্টেছে। রমরম করে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে চলছে প্রাপ্তবয়স্ক কন্টেন্ট। তাই দর্শক এখন বোঝেন কোন দৃশ্য জোর করে গুঁজে দেওয়া হয়েছে আর কোনটা চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে হয়েছে। তবে মার্ডার ছবি সফল হলেও তার জন্য বড় মূল্য চোকাতে হয়েছিল নায়িকা মল্লিকাকে। বোল্ড দৃশ্য করার জন্য তাঁকে দুশ্চরিত্রা হওয়ার অপবাদ শুনতে হয়েছিল। মল্লিকা খুশি হয়েছেন যে এখন অন্তত দর্শকদের মনোভাব কিছুটা হলেও পরিবর্তিত হয়েছে।
advertisement
২০১৩ সাল থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে থাকছেন মল্লিকা। কাজ থাকলে মাঝে মাঝে ভারতে আসেন। তবে ভারতের চেয়ে আমেরিকায় স্বাধীনতা বেশি, এটা মেনে নিয়েছেন তিনি। মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ির ছবিও দেন তিনি।