পল্লবীর দে-র মৃত্যুর পরে এবার মুখ খুললেন একদা রুমমেট, অভিনেত্রী প্রত্যুষা পাল৷ একসঙ্গেই ওঠাবসা ছিল তাঁদের৷ দিদি নম্বর ওয়ানেও একসঙ্গে এসেছিলেন তাঁরা৷ সঙ্গে ছিলেন মায়েরা৷ শেয়ার করেছিলেন মজার মজার কত কথা৷ পল্লবীর ফ্ল্যাটে থাকতে এসেছিলেন প্রত্যুষা৷ ভাগাভাগি করে রান্না করতেন৷ লকডাউনে যে যার বাড়ি চলে যান৷ কিন্তু বন্ধুত্ব ছিল একই৷ মৃত্যুর আগের রাতে পল্লবী তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে প্রত্যুষার সঙ্গেই ছবি দিয়েছিলেন৷ সেই দিন ভোর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এত সক্রিয় থাকার পর পরের দিন সকালে জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতে পারল পল্লবী? প্রশ্ন উঠছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: শেষমেশ CBI-এর কাছে অনুব্রত মণ্ডল, এসএসসি বিতর্কের মধ্যেই পারদ চড়ালেন তৃণমূল নেতা
সেদিন সকালে কাজে না আসা নিয়ে পল্লবীর সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর পরিচারিকার৷ পরিচারিকা নিজেও জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তিনবার ফোনে কথা হয়৷ কাজে আসতে পারবেন না শুনে রেগে যান পল্লবী৷ বাড়ির একটি অনুষ্ঠানে যায়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন পল্লবী৷ তা হলে কী এমন হল যে নিজেকে শেষ করে দিলেন তিনি?
সাগ্নিক ম্যারাথন পুলিশি জেরায় জানিয়েছিলেন মৃত্যুর দিন সকালে তার সঙ্গে বচসা বাঁধে পল্লবীর। কিন্তু কী নিয়ে বেঁধেছিল সেই অশান্তি? সাগ্নিক চক্রবর্তী জানায়, সেদিন সকালে পল্লবী ফোন করে পরিচারিকাকে আসতে বলেন। কিন্তু তিনি সে আসতে চায়নি। এই নিয়েই গোলমাল শুরু। অভিনেত্রী যে মাঝেমধ্যে পরিচারিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত, তাও পুলিশকে জানিয়েছেন সাগ্নিক। আর সেদিন সেই নিয়েই তিনি প্রতিবাদ করে, তাতেই ক্ষেপে ওঠেন পল্লবী, শুরু হয় বচসা, যা মুহূর্তে চরমে ওঠে। সাগ্নিক ব্যালকনিতে সিগারেট খেতে গেলে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন পল্লবী। সিগারেট খাওয়া শেষ করে ঘরে ঢুকতে গেলে সেই সময় দরজা বন্ধ ছিল। এরপরেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা।