আরও পড়ুন : উজ্জ্বল হলুদ সাঁতারপোশাকে প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার সইফকন্যা সারা
ভিডিয়োতে দেখা দেখা গেল থালায় রাখা একটি ভাতের থালায় বেশ পর্যাপ্ত পরিমানে ঘি ঢালছেন ভারতী (Bharti Singh)। ভারতীকে বলতে শোনা গেল, ‘এবার যোগ করলাম ঘি’। এরপর থালায় ডাল ঢালতে শুরু করেন ভারতী, পাশ থেকে জেসমিন বলে ওঠেন- ‘এবার ঘিয়ের তরকা দেওয়া ডাল’। এরপর ভারতী বলে চলেন, ‘দুনিয়ার লোকজন বলছে আমি রোগা হচ্ছি, টাইম দেখুন আমি কখন খাচ্ছি’। শেষে জেসমিন বলেন, ‘এটাই ভারতীর রোগা হওয়ার রহস্য… চার চামচ ঘি, তেল জবজবে আলুর তরকারি আর তেল ভরপুর ডাল’।
advertisement
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে ভারতী জানিয়েছেন, দ্বিতীয় লকডাউনের সময় তিনি ওজন ঝরানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এবং ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ (intermittent fasting) এর মাধ্যমে চটজলদি ওজন কমাতেও সফল হয়েছেন।
কমেডিয়ান ভারতী সিং একটি স্বাক্ষাৎকারে নিজেই জানিছেন, আগে তাঁর ওজন ছিল ৯১ কিলোগ্রাম, এখন দাঁড়িয়েছে ৭৬ কিলোগ্রামে। একইসঙ্গে ভারতী জানিয়েছেন, এই ওজন হ্রাস তাঁকে শারীরিকভাবে আরও মজবুত করেছে, বিশেষত তাঁর বেশকিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যেমন ডায়াবেটিস, অ্যাস্থমা- সেগুলির ব্যাপারেও সহায়ক হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘পবিত্র রিশতা’ শুরুর আগেই সুখবর! বাবা হলেন অভিনেতা শাহির
ভারতী জানিয়েছেন, ‘আমি সন্ধ্যা ৭ থেকে পরদিন দুপুর ১২টা অবধি খাই না, এরপর দুপুর ১২টা বাজলেই খাবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি। সাতটার পর ডিনার, এমনিতেও আমার শরীর সহ্য করে না। আমি ৩০-৩২ বছর প্রচুর খেয়েছি, এরপর একটু শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় এসেছে। শরীরও ধীরে ধীরে সবকিছু মানিয়ে নিচ্ছে’।
মেদ কমাতে আরও সুস্থ বোধ করছেন বলেও জানিয়েছেন ভারতী। তাঁর কথায়, ‘এখন শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয় না, অনেক হালকা মনে হয় নিজেকে। আমার অ্যাস্থমা আর ডায়াবেটিসের সমস্যাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে’, জানান ভারতী।
এদিকে, স্ত্রীর এই ট্রান্সফরমেশনে নাকি একদম খুশি নয় হর্ষ! ভারতী জানান, হর্ষ আগের মতো ভারতীর ভুঁড়ির সঙ্গে খেলতে না পারার আফসোসেই কাহিল, পাশাপাশি বাইরে খাবার খাওয়া ভারতী একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন, এই বিষয় নিয়েও একদম খুশি নন হর্ষ। তবে হর্ষ খুশি না হলেও ভারতীয় এই মেনু দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। আগামী দিনে এই ভাবে ডায়েট ফলো করে রোগ হওয়ার প্ল্যান করছেন অনেকেই।
