সেখানকার খাবারের বিষয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে একটি আবেগঘন পোস্ট করে বীর দাস লিখেছেন, “এই শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে যেটা তিনি বানিয়েছেন, সেটা সত্যিই দারুণ।” সেই সঙ্গে বীর এ-ও লিখেছেন যে, “এটা আমায় গর্বিত করেছে। আর খাবারও খুব খুব ভাল ছিল। কোনও বিচ্ছিন্নতা ছাড়াই একেবারে নতুন ধরনের সব কিছু। আপনার নিজের বাড়ির কথা মনে পড়ে যাবে। যা চমক দেবে। খুবই কৃতজ্ঞ এবং সেই সঙ্গে গর্বিতও বটে! ভাই আপনার উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং পরিবেশনার জন্য ধন্যবাদ।”
advertisement
ওই একই পোস্টে নিজের লড়াইয়ের কাহিনিও তুলে ধরেছেন বীর দাস। কীভাবে তিনি মার্কিন মুলুকে অভিবাসী হিসেবে সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সেটাই জানালেন। এমনকী রোজগার করার জন্য একটা সময় রেস্তোরাঁয় বাসনও মাজতে হয়েছিল তাঁকে। এর পাশাপাশি বীর শ্যেফ খান্নার লড়াইয়ের কাহিনিও মনে করেছেন। কীভাবে ভারতীয় খানার খাঁটি স্বাদ এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন শ্যেফ খান্না, সেটাও তুলে ধরেন বীর।
এমনিতে পশ্চিমী দেশে একজন ভারতীয় শ্যেফ হিসেবে কীভাবে দিনের পর দিন তাঁকে বর্ণবিদ্বেষের কবলে পড়তে হয়েছে, সেটা হামেশাই তুলে ধরেছেন বিকাশ খান্না। এমনকী ভারতীয় খাবার নিয়েও গলা ফাটাতে হয়েছে তাঁকে। ২০২০ সালে বিবিসি-র একটি সাক্ষাৎকারে শ্যেফ বিকাশ খান্না কোভিড ১৯ অতিমারী চলাকালীন বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করার জন্য তাঁর অনুপ্রেরণা সম্পর্কে বর্ণবিদ্বেষমূলক বর্ণনাকে দক্ষতার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন, তিনি বলেন যে, যেহেতু বিকাশ খান্না অমৃতসরে বেড়ে উঠেছেন, তাই ক্ষুধার গুরুত্বটা তিনি বোঝেন। সেই মন্তব্যের জোরালো জবাব দিয়েছিলেন বিকাশ খান্নাও।
সেলিব্রিটি শ্যেফ জোর দিয়ে বলেন যে, অমৃতসর তাঁর শহর। সেখানে ক্ষুধা একটি প্রচলিত সমস্যা নয়। তিনি স্বর্ণমন্দিরের অসাধারণ কমিউনিটি কিচেনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছিলেন। বিকাশ জানিয়েছিলেন, স্বর্ণমন্দিরের কমিউনিটি কিচেনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ খেতে আসেন। এমনকী একটা গোটা শহরকে খাওয়ানোর ক্ষমতাও রয়েছে। এর পরিবর্তে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে ক্ষুধা এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন।
গায়ের রঙের কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁকে যে লড়াই করতে হয়েছিল, সেই কথাও তুলে ধরেছেন শ্যেফ খান্না। ৯/১১ আর্থিক প্রেক্ষাপটে তাঁকে গ্র্র্যান্ড সেন্ট্রাল স্টেশনের মতো পাবলিক প্লেসেই রাত কাটাতে হয়েছে। লিঙ্গ বৈষম্যের জেরে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর কিচেনে কাজ পেতেও সমস্যার মুখে পড়েছিলেন তিনি।