রিয়া চক্রবর্তীর টক শোতে উপস্থিত হয়ে বিজয় সম্প্রতি চলচ্চিত্রে প্রবেশের আগে তাঁর প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি একসময় একটি মোবাইল কোম্পানিতে কাজ করতেন, সিম কার্ড বিক্রি করতেন। বসের কাছে রিপোর্ট করতেন। প্রতিদিন থাকত টার্গেটের চাপ। সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে আরও কিছু করতে বলা হত। বিজয় তাঁর বসকে বলেছিলেন যে একদিন তাঁর ছবি সেই শোরুমে ঝুলবে বিক্রয়কর্মী হিসেবে নয়, বরং ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসাডর হিসেবে।
advertisement
বহু বছর পরে তিনি সেই মুহূর্তটিকে আনন্দের সঙ্গে স্মরণ করেন। তবে যে কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন তিনি একবার দেখেছিলেন তা আর নেই। সিম কার্ড বিক্রি থেকে শুরু করে হিট সিনেমায় অভিনয় এবং সফল হওয়া পর্যন্ত তাঁর গল্পটি এমন এক গল্প অসংখ্য বলিউড স্বপ্নকে ইন্ধন জোগায়।
বিজয়ের অভিনয়ের পথটি সোজা ছিল না। চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে কোনও সংযোগ না থাকা সত্ত্বেও হায়দরাবাদে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠর পর তিনি তাঁর জন্য উপযুক্ত কেরিয়ারের পথ খুঁজে পেতে লড়াই করেছিলেন। স্নাতক হওয়ার পর তিনি পেট্রোল পাম্পে পেট্রোল কার্ড বিক্রি করা থেকে শুরু করে কল সেন্টারে কাজ করা এবং স্বল্পমেয়াদী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কাজ করা পর্যন্ত অনেক কাজই করেছেন।
প্রথমবারের মতো মঞ্চে পারফর্ম করার দিন সব কিছু বদলে যায়। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া তাঁর জীবন বদলে দেয়।
নিজের অভিনয় দক্ষতাকে আরও উন্নত করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিজয় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াতে (FTII) ভর্তি হন, যেখানে তিনি অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন এবং অবশেষে মুম্বই চলে আসেন। এরপর বছরের পর বছর সংগ্রাম চলে। গলি বয়, মির্জাপুর এবং ডার্লিংস-এ তাঁর অসাধারণ অভিনয় তাঁকে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রতিভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
অভ্যন্তরীন সজ্জা, সি ফেসিং বারান্দা সবনিয়ে সেই বাড়িটি তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন। বিজয়কে সম্প্রতি IC 814: The Kandahar Hijack and Murder Mubarak-এ দেখা গিয়েছে। তিনি হংসল মেহতার মতো নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
