শ্যাম জানিয়েছেন, লক্ষ্য ছবির শ্যুটিং চলছিল সেই সময়ে লাদাখে। সেখান থেকে ফেরার পর থেকেই শুরু হয় পেট ব্যথা। নানাবতী হাসপাতালে হয় অস্ত্রোপচার। তারপরেও বেশ কিছউ জটিলতা হতে থাকে। তার আগে একবার অ্যাপেন্ডিক্স এর সমস্যা নিয়ে অভিনেতা নানা পটেকরকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন শ্যাম কৌশল। তাই সেই বারও নানা পটেকরকেই ডেকে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
শ্যাম কৌশল বলছেন, "আমার জ্ঞান ছিল না। শুনতে পেলাম, পেটে কোনও ইনফেকশন হয়েছে। পেটের একটা অংশ কেটে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন চিকিৎসকরা। ক্যানসার ধরা পড়েছে। আমি জানতাম না আমি বাঁচব কি না। কাউকে বলিনি। ৫০ দিন আমি হাসপাতালে ছিলাম। তার পরে আমি কাজে ফিরি। এক বছর ধরে আমার বিভিন্ন পরীক্ষা হয়। সৌভাগ্যবশত ক্যানসারটা ছড়িয়ে পড়েনি। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ১৯ বছর।"
আরও পড়ুন- ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা! হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্য
সেই কঠিন সময়ে যাঁরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের কথাও উল্লেখ করেন শ্যাম। সেই সময়ে একটি ছবির শ্যুট শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগের মাসেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন- এত ভাল সম্পর্ক, তাও সলমনের ছবি থেকে বাদ পড়লেন শেহনাজ? তির্যক মন্তব্য অভিনেত্রীর
ভিকি কৌশলের বাবা বলছেন, "আমি ভেবেছিলাম, কোনও ভাবেই বাঁচা সম্ভব নয়। এও ভেবেছিলাম, চার তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে জীবন শেষ করে দেব। কারণ ওই ভাবে বাঁচতে পারছিলাম না। কিন্তু অস্ত্রোপচারের জন্য বিছানা থেকে উঠতে পারছিলাম না। ঈশ্বরকে বলেছিলাম, 'দয়া করে এসব শেষ করো। আমার কোনও আক্ষেপ নেই জীবনে। ছোট গ্রামের ছেলে আমি। তোমার দয়ায় ভালই কেটেছে জীবন। আমায় বাঁচাতে চাইলে, আমায় দুর্বল হতে দিও না।' যে ছবির শ্যুট শুরু হওয়ার কথা ছিল তার টাকা ফেরত দিলাম পরের দিন প্রযোজনা সংস্থার একজনকে ডেকে।"
ছবিটি ছিল অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত 'ব্ল্যাক ফ্রাইডে'। কিন্তু অনুরাগ জানান, ছবিটি তিনি শ্যাম কৌশলের সঙ্গেই করবেন। তাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে শ্যাম সেই ছবিতে যোগ দেন।