কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক পরিচিত মুখ। সাগিনা মাহাতো, ধন্যি মেয়ে, পার, সফেদ হাতি থেকে সবুজ দ্বীপের রাজা—বহু উল্লেখযোগ্য ছবিতে তাঁর অভিনয় আজও দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। শুধু সিনেমা নয়, নানা ধারাবাহিক ও টেলিফিল্মেও সমান দক্ষতায় অভিনয় করেছেন তিনি। শিল্পী মহলের দাবি, চরিত্রাভিনয়ের ক্ষেত্রে কল্যাণবাবু ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।
advertisement
১৯৪২ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে জন্ম নেওয়া কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। ১৯৬৮ সালে ‘আপনজন’ ছবির মাধ্যমে তাঁর অভিনয়জীবনের সূচনা। এরপর সত্যজিৎ রায়ের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। মহানায়ক উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তি অভিনেতাদের সঙ্গে এবং হিন্দি ছবিতে বিদ্যা বালান, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গেও পর্দা ভাগ করেছেন কল্যাণবাবু। কয়েকশো ছবিতে অভিনয় করে তিনি শিল্পমহলে আলাদা স্থান তৈরি করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ রাশিদ ও বিষ্ণুর শট মিস, টাইব্রেকারে সুপার কাপ ফাইনালে হার ইস্টবেঙ্গলের
গত কয়েকদিন ধরে বাঙুর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু অবশেষে সমস্ত লড়াইয়ের অবসান ঘটল। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাতেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। আটিস ফোরামের পক্ষ থেকে শেষযাত্রার সমস্ত ব্যবস্থায় সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রবীণ অভিনেতার মৃত্যুতে টলি পাড়ায় শোকের ছায়া।
